কলকাতা: অবিলম্বে ধূপগুড়িকে মহাকুমা হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। এমনই দাবিতে পথে নেমেছে নাগরিক মঞ্চ। আন্দোলন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে ধূপগুড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র বি.আর কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরাও।
দীর্ঘদিন থেকে দাবি উঠছিল ধূপগুড়ি ব্লককে ভেঙ্গে পৃথক বানারহাট ব্লক গঠন করে এই দুই ব্লক নিয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন করতে হবে। বানারহাট ব্লক গঠন হলেও এখনও পর্যন্ত ধূপগুড়ি মহকুমা হিসাবে পরিচিতি পায়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ধুপগুড়িতে এসে ঘোষণা করেছিলেন, খুব শীঘ্রই ধুপগুড়ি মহকুমা হতে চলেছে। তবে ভোট কাটলেও তা বাস্তবে হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর এই একই দাবিতেই উপনির্বাচনের আগে আন্দোলন আরো জোরদার হচ্ছে ধূপগুড়িতে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ওপেন থিয়েটারে সারি সারি মদের বোতল
অন্যদিকে, ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের সমর্থনে ভোট প্রচারে শনিবার ধূপগুড়িতে এলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এদিন দুপুরে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে সঙ্গে নিয়ে ধূপগুড়ি শহর পায়ে হেঁটে মিছিল করে ভোট প্রচার সারলেন সুজন চক্রবর্তী। এদিন ভোট প্রচারে সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও প্রার্থীর সঙ্গে পায়ে পা মেলান সিপিআইএম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য, সিপিএম নেতা জিবেশ সরকার সহ জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব এবং কর্মী সমর্থকরা।
প্রচার শেষে এদিন সুজন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ আমরা প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে শহরে পরিক্রমায় বেরিয়েছি খুব ভালো মানুষের সাড়া পাচ্ছি। মানুষ বুঝতে পারছে তাদের কি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে তৃণমূল এবং ২০২১ সালে বিজেপিকে জিতিয়ে মানুষ ঠকে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী গত বিধানসভা ভোটের আগে ধূপগুড়িকে মহাকুমা করার কথা বলে গিয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচনের পর আড়াই বছর কেটে গেলেও মহাকুমা গঠন হয়নি।”