মেদিনীপুর: হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলকাবাসী। এই খবর অহরহ পাওয়া যায় রাজ্যর জঙ্গল লাগোয়া জেলাগুলি থেকে। কিন্তু, শুক্রবার উল্টো খবর পাওয়া গিয়েছে। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে কংসাবতীর গভীর জলে টানা পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রইল হাতির পাল। স্থান, ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া ও মেদিনীপুরের চাঁদড়ার কুন্ডলবনি গ্রামের মাঝে কংসাবতী নদী। কারণ, নদীর দুই প্রান্তের গ্রামবাসীরা পরস্পরের দিকে হাতির তাড়িয়ে দিতে চায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় মাস ধরে ঝাড়গ্রাম এলাকায় বিভিন্ন পালে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শতাধিক হাতি। বৃহস্পতিবার রাতে ১৪টি হাতির একটি পালকে তাড়িয়ে দেয় ঝাড়গ্রাম জেলার হুলাপার্টির লোকজন। সেই হাতির পাল কংসাবতী নদী পেরিয়ে করে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়াতে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সক্ষম হয়ে উঠেনি। হাতির পাল ভোর নাগাদ ঝাড়গ্রামের বৈতা গ্রাম থেকে কংসাবতী নদীতে নামার পর অপর প্রান্তে চাঁদড়ার কুন্ডলবনি, চাঁইপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন চিৎকার শুরু করেন। উল্টো দিকে ঝাড়গ্রাম জেলার হুলাপার্টির লোকেরাও তাড়া দেয়। দুই প্রান্তের মানুষজনের ঘেরাটোপে পড়ে যায় হাতির পাল। জল বেশি থাকায় হাতির পাল নদী পেরোতে চায়নি। এইভাবে ভোর ৪ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত নদীর জলেই ভেসে রইল হাতির দলটি। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পর হাল ছেড়ে দেয় হুলাপর্টির লোকজন। পুনরায় ঝাড়গ্রামের সাতপাটির জঙ্গলে ফিরে যায় হাতির পাল।
আরও পড়ুন- বিজেপি বিধায়ক চন্দনার ‘প্রেমিক’ কৃষ্ণ কুণ্ডু তৃণমূলে যোগ দিতে চান
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়গ্রামের বালিভাষা এলাকায় হাতির পাল ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে একাধিক বাড়ি। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। খাবারের খোঁজে বাড়ির দেওয়াল ও ছাউনি ভেঙে ফেলে বালিভাষার বাদিনা গ্ৰামে দাঁতাল বাহিনী। তবে ঘটনার পরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনকর্তারা সতর্ক রয়েছেন।