মেদিনীপুর: ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ কালবৈশাখীরও না কি দেখা মিলতে পারে৷ পূর্বাভাস মিলে গেলে গরমের তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলবে বটে৷ কিন্তু বিপাকে পড়বেন চাষিরা৷ ঝড়ের দাপটে মাঠেই নষ্ট হতে পারে ফসল৷ তাই কালবৈশাখী আছড়ে পড়ার আগেই চাষিদের ফসল কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষি দফতর৷
চাষিদের কাছে এটা বোরো মরশুম৷ এবার জেলায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে৷ তার ৩০ শতাংশ জমিতে ধান কাটা হয়ে গিয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কৃষি আধিকারিক মৃণালকান্তি বেরা জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার করে কৃষকরা মাঠ থেকে ধান তুলে নেয়৷ কিন্তু এখনও ৭০ শতাংশ জমির ধান কাটা বাকি৷ এ দিকে আবহাওয়া দফতর কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছে৷ তাই মাঠ থেকে দ্রুত ফসল তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চাষিদের৷ এর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা তাদের মাঠের ফসল ঠিক মতো তুলতে পারেননি৷ ফলে অনেক ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যায়৷ এতে ফসল এবং চাষি উভয়েরই ক্ষতি হয়৷
তাই পূর্বাভাস পেয়েই কৃষকদের ফসল কেটে নেওয়ার বার্তা দিয়েছে জেলার কৃষি দফতর৷ মাঠ থেকে সবজি, ফল, ফুল ইত্যাদি দূর্যোগের আগে তুলে নিতে বলা হয়েছে৷ ব্লক স্তর পর্যন্ত কৃষকদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে৷ জেলা কৃষি দফতর থেকে বার্তা পেয়ে অত্যাধুনিক ধান কাটার মেশিন দিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ধান কাটার কাজ চলছে৷ কালবৈশাখীর ভয়ে কৃষকরা তাদের খাওয়া নাওয়া ভুলে মাঠ থেকে ধান তোলার কাজ শুরু করেছেন৷ এখন দেখার কালবৈশাখীর আগমন কবে ঘটে৷