উত্তর ২৪ পরগণা: ঠাকুরবাড়ির ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শনিবার এমনটাই অভিযোগ করলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিষয়ে বলতে গিয়ে কুকথায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে ফের রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় জ্যোতিপ্রিয়র মুখের ভাষা নিয়ে দল অস্বস্তিতে পড়েছিল। মতুয়াদের গাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে এদিন হাবড়া পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। বলেন, ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানেই দেখা গিয়েছে মতুয়া ভক্তদের বাসের সঙ্গে ৪০৭ গাড়ির ছোট একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই ঘটনাকেই রাজনৈতিক রঙ চড়াচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর।
গত ২৯ তারিখ রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া নরেন্দ্রপুর থেকে ঠাকুরনগরের উদ্দেশে বাসে করে রওনা হয় মতুয়া দল। মাঝ রাস্তায় বারাসাতের কাজিপাড়া এলাকায় গাড়ি আটকায় কয়েকজন যুবক। এরপরই মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি করতে থাকে তারা। ভাংচুর করে বাস। প্রতিবাদ করতে গেলে, সুমন হালদার ও দলপতি বিধান হালদারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
এই বিষয় নিয়ে শনিবার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ও বলেন, যে অভিযোগ উঠছে কোনও এক বিশেষ গোষ্ঠীকে টার্গেট করে হামলা হওয়ার। তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। যখন এই ঘটনা ঘটেছে সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। আসল ঘটনাটি হল, কাজিপাড়া এলাকায় একটি সরু ব্রিজ রয়েছে। সেই রাতে ওই ব্রিজে যানজট তৈরি হয়। এক এক করে গাড়িগুলোকে পাস করানো হচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় মানুষ উপস্থিত ছিল। এই বাসটি হঠাৎই লাইন ভেঙে এগিয়ে আসে। সেই সময় ওই বাসে একজন ইট মারে। তারপর কিছু মানুষ বাস থেকে নেমে প্রতিবাদ করে। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে একজনকে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: রামপুরহাট থানার দায়িত্ব নিলেন নতুন আইসি, হাসপাতালে লীনা