জলপাইগুড়ি: টেট পাশ করা তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তরুণীর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর থেকে চার লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাকরি পাননি। এমনকি টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা এলাকার ওই তরুণী ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মূল অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পলাতক।
অভিযোগ, গত ২০ জুন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ ছিল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি বিদায়ী জেলা কমিটির সদস্য তথা ট্রাক মালিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এরপর ৪ জুলাই একই নালিশ জানানো হয় জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজিএম) এজলাশে। সে দিনই জেলা আদালতের সিজিএম শৈবাল দত্ত কোতোয়ালি থানাকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা সঞ্জীব ঘোষ। তাঁর দাবি, আমাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরা আমার কাছে টাকা চাইছে। আমাকে বলে টাকা দেওয়া হয়নি, আমি এই বিষয়ে জানিও না। এখন আমাকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা চাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।আমিও চাই তদন্ত হোক।
আরও পড়ুন- Post Poll Violence: হিংসা-মামলায় তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের আগাম জামিন খারিজ
গোমস্ত পাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে ও ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা পাশ করেছিলেন। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে সঞ্জীব ঘোষ চাকিরির আশ্বাস দেন৷ ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে চাকরির পাওয়ার জন্য প্রথম কিস্তির চার লক্ষ টাকাও জমা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে আরও আট লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়েছিল। সেই টাকা দিলেও চাকরি হয়নি। এমনকি টাকাও ফেরত টাকা দেওয়া হয়নি। শুধু ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।