জলপাইগুড়ি: গত কয়েকদিনে এলাকায় বেড়ে গিয়েছে চুরি, ছিনতাইয়ের (Jalpaiguri Snatching-Theft) ঘটনা৷ দোল উৎসবের দিন তাই শহরবাসীকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয় জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ৷ শুক্রবার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় (TMC Leader Saikat Chatterjee) নিজের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিছিল বের করে এলাকা পরিদর্শন করেন৷ শহরবাসীর সঙ্গে দোল উদযাপন করেন৷ আবার ছিনতাইবাজদের হাত থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করে মাইকে প্রচারও করেন৷
চোর, ছিনতাইবাজদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন পুর এলাকাবাসী৷ তাঁরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে শহরে ৮-১০টি চুরি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ মোবাইল ফোন থেকে গলার হার ও টাকার ব্যাগ ছিনতাই রোজগারের ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ এমনকী ডেলিভারি বয়ের সাইকেল থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে রান্নার গ্যাসও৷ ঘরেও নিশ্চিন্তে থাকা যাচ্ছে না৷ রাত হলেই আতঙ্ক বাড়ছে৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দু’দিন আগে রাতের অন্ধকারে গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল চোর৷ কিন্তু বাড়ির মালিক জেগে যাওয়ায় চোর খাটের তলায় লুকিয়ে পড়েছিল৷ পরে তাকে উত্তম-মধ্যম ধোলাই দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ ওই একটি ঘটনা ছাড়া আর কোনও চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনাতেই ধরা পড়েনি অপরাধীরা৷ এ নিয়ে পুলিসের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ শহরের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সোচ্চার বিরোধীরা৷
পুর এলাকায় লাগাতার চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা শাসক দলের কপালেও চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে৷ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতির কথায়, পুলিসকে আরও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে৷ পুলিস সূত্রে খবর, নেশাবাজরা অধিকাংশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত৷ মাদকদ্রব্যের টাকা জোগাড়ে শহরে চুরি-ছিনতাই করে বেড়াচ্ছে তারা৷ তার কিছুটা আভাস মিলল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেও৷ তিনি বলেন, ‘ব্রাউন সুগার, মাদক কারবারিদের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করতে হবে৷ ছিনতাইবাজদের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করতে হবে৷’ পাশাপাশি দোলের দিন বাইক দুর্ঘটনার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সে নিয়েও সচেতনতামূলক প্রচার করেন এলাকায়৷ যুবদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘অবশ্যই আনন্দ করব৷ আজ আনন্দ করার দিন৷ কিন্তু আনন্দ করতে গিয়ে এমন কোনও কাজ করো না যা তোমাদের পরিবারে হতাশা ডেকে আনে৷’
আরও পড়ুন: Cyclone Ashani: ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব, বদলাবে দুই বঙ্গের আবহাওয়া
