একের পর এক দরজা ভেঙেও খড়্গপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের লকার ভাঙতে পারল না চোরের দল। বরং ধরা পড়ার ভয়েই সিসিটিভির ‘হার্ডডিস্ক’ নিয়েই পালালো তারা। এক কথায় ঢাল তরোয়াল নিয়েও, কার্যত শূন্য হাতেই ফিরতে হল চোরের দলকে ।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ালেও কিছুটা স্বস্তিতে ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা।পুলিশ সূত্রে খবর, লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের উপরে রয়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। শনিবার গভীর রাতে ব্যাংক লুট করার উদ্দেশ্যেই গ্যাস কাটার দিয়ে লোহার দরজা কেটে এবং সাটার ভেঙ্গে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকে ১২ জন। কিন্তু ঢোকাই সাড় !
ব্যাংকের লকার ভাঙার শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা।শেষ পর্যন্ত, ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। এই ঘটনায় শোরগোল পরেছে গোটা এলাকায়। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নান্টু দোলই জানান, “সকালেই খবর পেয়ে আমরা পৌঁছে যাই সেখানে এবং খবর দিই থানায়। পুলিশকে নিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি একটার পর একটা দরজা ভাঙা হলেও, লকার ভাঙতে পারেনি তারা। উপরন্তু ,ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের দুটি সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ ব্যাংকের সিঁড়ির দিকে থাকায় ধরা পরার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা তা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। পুলিশের কাছে আমাদের দাবি, অবিলম্বে তদন্ত করে ওই অভিযুক্তদের ধরতে হবে। নাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ হতে পারে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীণের এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।