বোলপুর: বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা নিয়ে আবারও খোলা চিঠি দিলেন উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের বিশ্বভারতীতে।
কী লিখেছেন উপাচার্য ওই খোলা চিঠিতে? বরং বলা ভালো, কী লেখেননি তিনি?
উপাচার্যের অভিযোগ, রবীন্দ্রনাথের তৈরি বিশ্ববিদ্যালয় একটি দুর্নীতির আখড়া ছিল। এই বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে একাধিক প্রাক্তন উপাচার্যকে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। এখানে উপাচার্যকে কর্মসমিতির বৈঠক করতে দেওয়া হয় না। স্থানীয় পুলিস এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও বিস্তর অভিযোগ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ওই খোলা চিঠিতে।
উপাচার্যের ওই চিঠিতে বিশ্বভারতীর শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীদের একাংশ, ছাত্রছাত্রী, সকলের বিরুদ্ধেই নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। একের পর এক উদাহরণ তুলে উপাচার্য চিঠিতে বোঝাতে চেয়েছেন, বিশ্বভারতীতে বেআইনি সমস্ত কাজকর্ম হয়। তাঁর দাবি, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হয়েছেন বলেই কায়েমি স্বার্থের লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছেন। এই প্রসঙ্গেই উপাচার্য বিশ্বভারতীর সাম্প্রতিক অচলাবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর দাবি, পড়ুয়াদের একাংশ অন্যায় আবদার করে অচলাবস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence Firhad: রামপুরহাটের হিংসার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে, দাবি ফিরহাদের
চিঠিতে উপাচার্যের বক্তব্য, বিশ্বভারতীতে কী চলছে, তা সকলের জানা দরকার। এই কারণে তিনি এই খোলা চিঠি প্রকাশ করলেন। কবিগুরুর হাতে গড়া বিশ্বভারতীকে ইচ্ছাকৃতভাবে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত চলছে বলেও তাঁর অভিযোগ।
এই চিঠির বক্তব্য নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। ছাত্র-শিক্ষক-আশ্রমিকদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, উপাচার্যই এই চিঠি লিখে বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করল।