জলপাইগুড়ি: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (prime minister awas yojana) থেকে দরিদ্র (poor) মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক দরিদ্র বিধবা মহিলা ইতি দত্ত ঘর পাননি বলে অভিযোগ৷ পেশায় পরিচারিকা ইতি দত্তর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেতে বহুবার পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েতের সদস্যদের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছেন। তাতে কোনও কাজ হয়নি। সরকারি যোজনায় ঘর না পেয়ে ভাঙা ঘরেই তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে কোনওক্রমে বসবাস করছেন।
বিষয়টি নিয়ে ব্লক (block) প্রশাসনের কাছেও নালিশ ঠুকেছেন ইতিদেবী। অভিযোগ উঠেছে, দরিদ্র (poor) মানুষজন ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের চার ভাই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (prime minister awas yojana) ঘর পেয়েছেন। এই অভিযোগের জবাবে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকার জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার সময়ে তিনি গ্রামে ছিলেন না। তাঁর চার ভাইয়ের ঘর পাওয়া যদি অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।
আরও পড়ুন: CJI Chandrachud: পরিবারের অমতে বিয়ের জন্য প্রতিবছর কয়েকশো খুন হয়: প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়
এদিকে পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকারের প্রতিবেশীদের অনেকেই দরিদ্র। ঠিকমতো মাথা গোঁজার সংস্থান নেই ওঁদের। বঞ্চিত গ্রামবাসীরা জানালেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (prime minister awas yojana) ঘর পাওয়ার জন্য তাঁরা একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা লোহার, পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকারের কাছে আর্জি জানালেও তাতে কোনও কাজই হয়নি।
ইতিদেবীর মতো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (prime minister awas yojana) থেকে বঞ্চিত অন্য গ্রামবাসীরাও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি বাপি গোস্বামী বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, গোটা জেলাতেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি চলছে। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘর পাচ্ছেন ধনীরা। আর ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘর পাচ্ছেন দরিদ্র মানুষ।