মালদহ: সারা বছরই মধু (Honey) কাজে লাগে, তবে শীতকাল (Winter Season) পড়লে মধুর ব্যবহার তুলনায় বাড়ে ঘরে ঘরে। বাংলায় মধু তৈরির ব্যবসার প্রচলন বহুদিন ধরেই রয়েছে। বাংলায় মধু চাষের (Honey Bee Farming) জন্য অন্যতম পরিচিত স্থান হল মালদহ জেলা (Malda District)। এবার জেলায় ব্যাপক শৈত্যপ্রবাহ (Cold Wave) হচ্ছে। একসপ্তাহের বেশি হল এই শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আর তার জেরে মার খাচ্ছে জেলার মধুচাষ। কনকনে ঠান্ডার জেরে বাক্স থেকেই বের হচ্ছে না মৌমছির দল। চিনির (Sugar) টোপ দিয়ে ডাকতে হচ্ছে মৌমাছিদের। এই করতে গিয়ে মৌমাছির খাদ্য হিসেবে চিনি বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে জেলার মধু চাষিদের। শুধু চিনি দাম দিয়ে কেনাই নয়, তা মৌমাছিকে খাওয়ানোর জন্য বাক্সে ভরতে গিয়ে কাজ বেড়েছে মধু চাষিদের। তাঁদের আশঙ্কা এরকম চলতে থাকলে জেলার মধুচাষে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে।
আরও পড়ুন: Gobhir Jawler Mach : গভীর জলের মাছ!
মধু তৈরির উৎস হল ফুল (Flowers)। যেখানে মধু চাষ হয়, তার আশেপাশে প্রচুর ফুলগাছ দরকার। মৌমাছিরা (Honey Bees) সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে ফিরে আসে মৌচাক (Beehives) তৈরি করে। মালদহ জেলায় যেখানে মৌমাছি পালন হয় মধুচাষের উদ্দেশ্যে, সেখানে আশেপাশে সর্ষেক্ষেত (Mustard Fields) রয়েছে। আশেপাশে আমগাছ (Mango Trees) ও বিভিন্ন ফুল গাছও রয়েছে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের জেরে মৌমাছিরা বাক্স থেকেই বের হচ্ছে না। ফলে বাক্সগুলিতে কয়েক কেজি করে চিনি লাগছে মৌমাছিদের খাদ্য হিসেবে যোগান দিতে। মালদহের মধুচাষিরা বলছেন, এরকমভাবে মধু চাষ করতে হলে অনেক খরচ বাড়বে। মধু উৎপাদনের জন্য খরচও বাড়বে। ফলে আর্থিক ক্ষতি এড়াতে স্বভাবতই দাম বাড়াতে হবে মধুর।
কনকনে ঠান্ডার কারণে মৌমাছিরা বাক্স থেকে না বের হওয়ায় কৃত্রিম উপায়ে চিনি খাইয়ে চাষ করার কারণে মধুর গুনমানেও (Quality) পতন দেখা দিয়েছে। সেই মধু আবার বেশি দামে বিক্রি করতে গেলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গুনমান কম হওয়ায় পাইকারি বিক্রেতারা (Wholesalers) কিনতে নিমরাজি, ফলে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দাম কমিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে মধু চাষিদের জন্য জেলা উদ্যালনপালন দফতর (District Department of Horticulture)।ভালো খবর দিয়েছে ঠান্ডার দাপট আর ক’দিন পরই কমবে এবং চাষিরা স্বাভাবিক মাত্রায় গুনমান সম্পন্ন মধু উৎপাদন করতে পারবেন।