আনন্দপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কেশপুর ব্লকের আনন্দপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election 2023) আগে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের (TMC) দাবি, মেগা সভা (Meeting) করে চমক দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগদান করতে চলেছেন সেখানে বিজেপির (BJP) বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি এই সমাবেশ হবে আনন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে তৃণমূলের নেতৃত্ব শুক্রবার বিকেলে ওই মাঠ পরিদর্শন করে। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি (Ajit Maity) বলেন, এ যাবৎকালের সব থেকে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ হবে এটি। লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিত হওয়ার সম্ভাবনা। জেলা জুড়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভা থেকে বিজেপির (BJP) বেশ কয়েকজন রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব যোগ দেবে তৃণমূলে। জল্পনার মধ্যে রয়েছে খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্য়ায়ের নামও। কারণ, ইতিমধ্যেই হিরন (Hiran Chatterjee) সহ আরও একজন সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে অজিত মাইতি অবশ্য বলেন, বিধায়ক স্তরের অনেকেরই যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন এ বিষয়ে পরিষ্কার বলতে পারব না।
তৃণমূলের দাবি, জেলার দুই সাংগঠনিক জেলা, ঘাটাল ও মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকা হচ্ছে আনন্দপুর। তাই আনন্দপুর মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে। অনেকের আবার দাবি, কেশপুর গত কয়েক মাস ধরে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত, যা বিরোধীদের হাত মজবুত করেছে ওই এলাকাতে। সেই সঙ্গে আনন্দপুর এলাকায় বিজেপির (BJP) শক্তি (Strength) বেশি। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Vote) আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থল হিসেবে আনন্দপুরকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত দুদিন ধরে কেশপুরের (Keshpur) চাঁদপুর এলাকায় নতুন করে গোষ্ঠী সংঘর্ষে (Clash) কয়েক জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয় অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন অজিত মাইতি। তিনি বলেন, কোথাও কোথাও পারিবারিক সমস্যাকেও গোষ্ঠী কোন্দল বলে চালানোর চেষ্টা করছেন অনেকে। তবে দলের কর্মীদের সামান্য একটু সমস্যা আছে, সেগুলো মিটিয়ে নেব শীঘ্রই।