বোলপুর: জেলে রয়েছেন অনুব্রত (কেষ্ট) মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তার মধ্যেই হতে চলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। এই প্রথম বীরভূমে (Birbhum) কেষ্টহীন পঞ্চায়েত ভোট করবে শাসকদল। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও চিত্রটা ছিল অন্যরকম। অমিত শাহকে টেক্কা দিতে কেষ্টকে পাশে নিয়ে রোড শো করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Chief Minister Mamata Banerjee)। তার কয়েকমাসের মাধ্যেই বীরভূমের ছবিটা ঘুরে গিয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেষ্টহীন বোলপুরে পা রাখবেন মমতা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বীরভূম সফরের কোনও পোস্টার ব্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই যেসব তোরণ তৈরি হয়েছে বা পোস্টার ব্যানার লাগানো হয়েছে, সেখানে কেষ্টর ছবি নেই। রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি।
শনিবার বীরভূমের নানুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসাপাড়ায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আব্দুল করিম খান মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) সভার সমর্থনে মিছিল করেন। মিছিলে হাজির ছিলেন নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝি ও তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। এই মিছিলেও পোস্টার ব্যানারে অনুব্রতর ছবি দেখা যায়নি। দলের একাংশের মতে, অনুব্রত (Anubrata Mandal) প্রভাবশালী তকমা কাটাতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। এর আগে একাধিকবার অনুব্রতর প্রভাবশালী তত্ত্বকে সামনে রেখেই আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেছে। বীরভূমে গিয়েই একাধিক জনসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অনুব্রতকে খাঁচাবন্দি বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও কেষ্টকে বীর বলে উল্লেখ করেছেন। এসব কারণেই আদালত অনুব্রতকে প্রভাবশালী ঠাওরেছে।
আরও পড়ুন:Pakisthan : পাকিস্তানকে আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা করবে আল্লাহ, দাবি অর্থমন্ত্রীর
কেষ্টর অনুপস্থিতিতে বীরভূমের কয়েকজন জেলা নেতাকে নিয়ে একটি টিম করে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না বলে দলের অনেকেরই অভিযোগ। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে নেতা-মন্ত্রী- বিধায়ক-সাংসদরা দিদির দূত হিসেবে বীরভূমের গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে অনুব্রত (Anubrata Mandal থাকলে মানুষের বা দলীয় কর্মীদের এভাবে বিক্ষোভ দেখানোর সাহস হত না। বিরোধীদের দাবি, কেষ্ট নেই বলেই ভয় ভেঙে সাধারণ মানুষ এবং দলের নিচুতলার কর্মীরা নেতাদের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পারছেন। এই আবহেই ১ ফেব্রুয়ারি বোলপুরে সভা করতে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী Chief Minister)। তার আগের দিন বীরভূমে প্রশাসনিক সভা করবেন তিনি। বোলপুরের সভা সফল করার জন্য জেলার নেতারা আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন।