বাসন্তী: শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী (Bashanti)। ভাঙচুর চালানো হয় আইসিডিএস কেন্দ্রে। ঘটনাটি বাসন্তী থানার উত্তর ভাঙনখালি গ্রামের মোল্লাপাড়ার। গোসাবা, বাসন্তী প্রভৃতি এলাকায় তৃণমূল এবং যুব তৃণমূলের মধ্যে কোন্দল নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরে দুই তৃণমূলের কোন্দল এবং সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ওই সব এলাকা। বুধবার রাতেও দুই তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয়। বেশ কয়েকজন যুব তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। রাত থেকে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।
বুধবার রাতে যুব তৃণমূলের সঙ্গে মূল তৃণমূলের বিবাদ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তীর মোল্লাপাড়া। এলাকার যুব তৃণমূল কর্মী মোখলেস মোল্লার জমিতে গড়ে ওঠা আইসিডিএস কেন্দ্রেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Money Recovered: বালিগঞ্জ কাণ্ডে নির্মান সংস্থার মালিককে তলব ইডির
যুব তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূলের কাঁঠালবেড়িয়ার অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল সর্দারের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোজাম্মেল। তিনি বলেন, সরকারি আইসিডিএস কেন্দ্রের টিউবওয়েল থেকে জল নিয়ে জমি চাষ করা হয়। পোল্ট্রি ফার্মে জল দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই ঘটনার প্রতিবাদ করায় নিজেরাই এই আইসিডিএস কেন্দ্রে ভাঙচুর করে যুব তৃণমূলের লোকজন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গোসাবা এবং বাসন্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের বিবাদ লেগেই রয়েছে। মাঝে মাঝেই এই দুই তৃণমূলের মধ্যে বোমা-গুলির সংঘর্ষ ঘটে। অতীতে সেই সংঘর্ষে দুপক্ষের লোকজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে, জখম হয়েছেন অনেকেই। এমনকি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগানোও হয়েছে। জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এর আগে একাধিকবার জেলা নেতৃত্বকে এই ব্যাপার সতর্ক করেছে। জেলার নেতারাও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীরই স্থানীয় নেতৃত্বকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও দুই তৃণমুলের কোন্দল থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।