হাওড়া: অবশেষে খোঁজ মিলল রহস্যময়ী হৈমন্তীর। শুক্রবার হাওড়ার বাকসাড়ায় হদিশ পাওয়া গেল হৈমন্তীর বাড়িও। এদিন ওই বাড়ির থেকে এক বৃদ্ধা হৈমন্তীর মায়ের পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। অথচ প্রতিবেশীদের দাবি, ১০ দিন আগেও হৈমন্তী ওই বাড়িতে এসেছিলেন। বৃদ্ধার কথাবার্তাতেও অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। তিনি একবার বলেন মেয়ে মারা গিয়েছে। পরে মুহূর্তেই তাঁর বক্তব্য, সিবিআই ডাকলে মেয়ে যাবে। আবার কখনও তিনি বলেন, বাড়ির অমতে বিয়ে করায় বড় মেয়ের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিতে বৃহস্পতিবারই কুন্তল দাবি করেন, এই রহস্যময়ী নারী অর্থাৎ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী গোপাল দলপতির কাছে সব টাকা রয়েছে। তারপরই কে এই রহস্যময়ী, তা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। জানা যায়, হৈমন্তীর বাপের বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ার কাটুরিয়া পাড়া এলাকায়। বর্তমানে এই ঠিকানাতেই থাকে হৈমন্তীর বাপের বাড়ির লোকজন। পরিবারে রয়েছেন হৈমন্তীর বাবা, মা ও ছোট বোন। এদিন একাধিকবার ডাকাডাকির পর হৈমন্তীর মা দরজা খুলে বেরিয়ে এসে জানান, বাড়িতে তাঁর ছোট মেয়ে আছে, হৈমন্তী নেই। এছাড়াও তিনি বলেন, তাঁর বড় মেয়ে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। জামাইয়ের কাজকর্ম ও আর্থিক ব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই। এছাড়াও তাঁর বাড়ির সামনে আগে প্রায়ই দামী বিলাসবহুল গাড়ি দেখা যেত বলেও দাবি করেন ওই বৃদ্ধা। ওই বাড়িতে শিক্ষা সদন নাম একটি ফলক লাগানো ছিল। সেটি রাতারাতি খুলে ফেলা হয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানান। এই প্রশ্নে হৈমন্তীর মা জানান, ঠোকাঠুকি করতে গিয়ে খুলে গিয়েছে।
মা যখন বলছেন মেয়ে মারা গিয়েছে বা মেয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তখন স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, দশ দিন আগেও বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী। তারা আরও জানান, মাঝেমধ্যেই বাপের বাড়িতে আসাযাওয়া করে হৈমন্তী। এক প্রতিবেশীর কথায়, হৈমন্তীর পরিবারের লোকেরা যথেষ্টই ভালো। তবে হৈমন্তী কোথায় থাকে, কী করে তা তারা জানেন না। এই শিক্ষা দুর্নীতিতে হৈমন্তীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় গ্রামের লোকজন অবাক হয়ে গিয়েছেন। এক মহিলা বলেন, ইদানিং হৈমন্তীর সাজগোজও খুব বেড়ে গিয়েছিল। এদিন বাড়ির গেটে ভিতর থেকে তালা বন্ধ করা ছিল। হৈমন্তীর মা দরজা খুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কতা বলেন। তবে ওই গেটের তালা খোলা হয়নি।