বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরের গ্রামে গ্রামে বাড়ছে ছেলেধরা (Child Lifter) আতঙ্ক। ছড়াচ্ছে নানা গুজব। যার ফলে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে (School) হু হু করে কমছে পড়ুয়াদের (Student) উপস্থিতির সংখ্যা। চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গুজব বন্ধ করতে কড়া অবস্থানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। পাশাপাশি তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।
সম্প্রতি পূর্ব-দক্ষিণ দিনাজপুর বিভিন্ন ব্লকে ছেলেধরা বাড়ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমারজঞ্জের আমরুলবাড়ি এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক হিন্দিভাষী ব্যক্তিকে কিছুদিন আগে ছেলেধরা সন্দেহে ব্যাপক মারধর করা হয়। তারপর থেকেই জেলার বিভিন্ন ব্লকের গ্রামে নানা গুজব ছড়াতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামের মানুষজন। তাঁরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পর্যন্ত পাঠাতে চাইছেন টনা। এর ফলে স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: Contempt Of Court: আদালত অবমাননা, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
এতেই নড়েচড়ে বসে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এবং জেলা প্রশাসন। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানান, তপন পূর্ব চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে তিনি ছেলেধরা গুজবের কথা শুনেছেন। ওই সমস্ত এলাকাতে সচেতনতামূলক সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে তপনের বিডিওকে। সংসদ সভাপতি অভিভাবকদেরও আশ্বস্ত করে বলেন, প্রশাসন যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে, উদ্বগের কোনও কারণ নেই। ছেলে-মেয়েদের আপনারা স্কুলে পাঠান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট থানায় স্থানীয় প্রশাসন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান, অন্য কাউন্সিলররা এবং আশপাশের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।