শক্তিগড়: রাজু ঝায়ের (Raju Jha) খুনের ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা।তারই মধ্যে সোমবার (Monday) রাতে ফের শক্তিগড়ে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশের (Police) ভূমিকা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তন্ময় মালিক(১৯)।বাড়ি হীরাগাছির ঘোষ পাড়ায়। তন্ময় চন্দননগরের বাসিন্দা। তন্ময়ের দেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, তন্ময়ের সঙ্গে পিন্টু মুর্মু নামে তার এক বন্ধুও ছিল। ঘটনার পর থেকে পিন্টুর কোনও খোঁজ মিলছে না। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়েছে তন্ময়কে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Sonarpur Incident | কলেজ পরিচালন সমিতি নিয়ে প্রাক্তন-বর্তমান বিধায়কের কোন্দল তুঙ্গে
পুলিশ রাতেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় স্থানীয় হাসপাতালে।ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়। শক্তিগড় থানার ওসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীও পৌঁছয় এলাকায়।
পরিবার সূত্রের খবর, পড়াশোনার কারনে তন্ময় হুগলির চন্দননগরে থাকতেন। আইটিআই পাশ করে চাকরির খোঁজ করছি্লেন তন্ময়। সোমবার বিকেলে শক্তিগড়ের বাড়ি থেকে চন্দননগর যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরন তিনি। তন্ময়ের বাবা তাপস মালিক তাঁকে মোটর বাইকে করে হীরাগাছি রেল গেটের কাছে ছেড়ে দিয়ে আসেন। এরপরই সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা একটি মাঠের মধ্যে তন্ময়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। তাঁরাই তন্ময়ের বাড়িতে এবং পুলিশে খবর দেন। তন্ময়ের বাবা এসে দেহটি শনাক্ত করেন।
মাত্র ১০ দিন আগে শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন দুর্গাপুর আসানসোল অঞ্চলের কয়লা মাফিয়া নামে পরিচিত রাজু ঝা। আজ পর্যন্ত সেই খুনের কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হলেও তদন্তের এক চুলও অগ্রগতি হয়নি। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার দিন রাজুর সঙ্গে ছিলেন গরু পাচার-কাণ্ডে জড়িত লতিফ। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই লতিফকেও পাওয়া যাচ্ছে না। সিবিআই অনেক দিন ধরেই তাঁকে খুঁজছে।
রাজু খুনের কিনারা না হওয়ার আগেই ফের শক্তিগড়ে খুনের ঘটনা ঘটায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, শুধু শক্তিগড় নয়, গোটা রাজ্যেরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল জমানায় পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিণত হওয়ার জন্যই কোনও খুনের কিনারা হচ্ছে না।