মুর্শিদাবাদ: বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হানা। শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। বাড়ির মূল গেট বন্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাড়িটি ঘিরে রাখেন। জানা গিয়েছে, চারজন তদন্তকারী অফিসার বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। তবে কী কারণে এই হানা, তা বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি। এদিন রঘুনাথগঞ্জ থানার পিয়ারাপুরে জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়িতেও তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, ওই বাড়ির ভিতরে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সামশের দেওয়ান, মহিলা নেত্রী তথা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ টলি বেগম সহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। আটকে পড়েন তাঁরাও। এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে। জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে এই সব দুর্নীতির কোনও যোগাযোগের খোঁজ পেয়েছে কি না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাও স্পষ্ট নয়। সময় যতই গড়াচ্ছে, বিধায়কের আন্দির বাসভবনের সামনে ভীড় বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব, সমর্থক ও দলের জন প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: TMC Slams Amit Shah | অমিতের পালটা সভা রবিতে, ঝাঁঝাল আক্রমণ তৃণমূল নেতৃত্বের
মাস দুয়েক আগেই মুর্শিদাবাদ জেলার আর এক তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি, অফিস এবং কারাখানাতে দিনভর তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। জাকির হোসেন জেলার বড় শিল্পপতি হিসেবে পরিছিত। তাঁর একাদিক বিড়ি কারখানা সহ আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। সেদিন সব কারখানা অফিসেই তল্লাশি চালায় ইডি। জাকিরের বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়। বিধায়কের দাবি, শ্রমিক এবং স্থানীয় বিধায়কদের মজুরি দিতে হয় বলে, বাড়িতে নগদ টাক রাখা থাকে। তবে তিনি জানান, তাঁর আয়করের সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাক রয়েছে। আয়কর অফিসাররা তা দেখে সন্তুষ্টও হয়েছেন। তিনি আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত জাকির কোনও মামলা করেননি।