বীরভূম: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বীরভূম সফরের আগেই তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষ নানুরে। শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে দুই মহিলা সহ জখম হয়েছেন চারজন। দু’জনকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম (Injured) তৃণমূল কর্মীদের কারো মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে, কেও আবার গুরুতর চোট পেয়েছেন। ঘটনাস্থলে নানুর থানার পুলিশ (Police) পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে নানুরের বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খানের গোষ্ঠীর সঙ্গে বচসা বাধে। মুখমুখি থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। জানা গিয়েছে, করিম খানের গোষ্ঠীর একজনের বাড়িতে তাজা বোমা মজুদ ছিল। এই খবর অন্য গোষ্ঠী পুলিশকে জানিয়ে দেয়। পুলিশকে কেন জানানো হল তা নিয়েই শুরু হয় বচসা, তারপর হাতাহাতি সংঘর্ষ। এদিকে ঘটনায় জখম ব্যক্তিরা সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তবে সিপিএম-এর দাবি, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ। নানুর থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : Dalit Woman Tortured | জমি বিবাদের জেরে এক দলিত মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ
এদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফরের আগেই দল ছাড়লেন তৃণমূল নেতা। রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রিয়াজুল হক দলত্যাগ করলেন শুক্রবারই। দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতির পদ ছেড়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দল ছাড়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন। রিয়াজুল হক বীরভূমের বগটুই গ্রামের বাসিন্দা। বগটুইয়ের গণহত্যার পর রিয়াজুল হককে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি করা হয় দলের তরফে। রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন রিয়াজুল।