ঝাড়গ্রাম: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার যাত্রাতে বাধা দান, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে হামলার ঘটনায় রাজেশ মাহাতো সহ মোট আটজন কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করে তোলা হল ঝাড়গ্রাম আদালতে। রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তাদের তোলা হয়েছে আদালতে। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড় গ্রামের গড়শালবনী এলাকায় অভিষেক ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন নবজোয়ার যাত্রাকে আটকে বিক্ষোভ দেখায় কুড়মি সম্প্রদায়ের লোকজন। কোনওভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি সেখান থেকে বের হতে সক্ষম হলেও পেছনে থাকা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট ছোঁড়া হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে যাওয়া সহ চালক রক্তাক্ত হন। এই ঘটনার পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। শুক্রবার রাতে ও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এই ঘটনার জন্য মোট আটজন গ্রেফতার হয়। যার মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় নয়াগ্রাম এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল রাজেশ মাহাতকে। রবিবার তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তোলা হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে। এদিকে, রাজেশ মাহাতদের একদিনের জেল হেফাজত।
অবিলম্বে কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতর মুক্তির দাবিতে হুড়া থানা এলাকার মাগুরিয়া গ্রামে মিছিল। তাঁদের অভিযোগ, কুড়মি আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অবিলম্বে ঝাড়গ্রামে গ্রেফতার হওয়া কুড়মি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এমনই দাবি করে ও কুড়মি জনজাতির মধ্যে জাগরণ ঘটানোর জন্য গ্রামে গ্রামে মিছিল করে কর্মসূচি পৌঁছে দিচ্ছে কুড়মি জনজাতির মানুষজনেরা। মূলত এসটি তালিকাভুক্তির দাবি করছেন কুড়মি জনজাতির মানুষজনেরা। পুরুলিয়ার হুড়া থানার মাগুরিয়া গ্রামে সংগঠিত হলো এমনই একটি মিছিল সহকারে কুড়মিদের প্রচার কর্মসূচি। শাসক দল তথা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চলছে এই আন্দোলন। ফলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে ভোটব্যাংকে। এমনটাই মনে করছে গ্রামের বাসিন্দারা। এমনই জানিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতা অপূর্ব মাহাত, মৃণাল কান্তি মাহাত।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | কুস্তিগিরদের সঙ্গে পুলিশের ব্যবহারের নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ঝাড়গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) যাত্রাপথে কুড়মিদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম ঘটল শুক্রবার রাতে। দহিঝুড়ি থেকে অভিষেকের গাড়ি শালবনির (Shalboni) দিকে চলে যাওয়ার পরই বাকি গাড়িগুলির উপর হামলা চালায় কুড়মি (Kurmi) সমর্থকরা। অভিযোগ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার (Birbaha Hansda) গাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়েছে। একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাঁশ, রড নিয়ে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। ইটের আঘাতে মন্ত্রী বীরবাহার গাড়ির চালকের চোখ গুরুতর জখম হয়। গাড়ি থেকে নেমে বীরবাহা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, এটা জনজাতি আন্দোলন নয়। আন্দোলনের নামে নোংরামি করছে কুড়মিরা। আমরাও জনজাতির আন্দোলন করে