Panchayat Election 2023 | পঞ্চায়েতে মনোনয়নকে ঘিরে ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

নওদা: পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) মনোনয়নকে কেন্দ্র করে শাসকদলের ব্লক সভাপতি (Block President) ও বিধায়কের (MLA) দ্বন্দ্ব ফের সামনে এল। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের (Bharatpur) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সেখান ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এবার মুর্শিদাবাদের নওদা (Naoda) বিধানসভার ঘটনা। পুলিশের লাঠিতে আহত তৃণমুল কর্মী আলাউদ্দিন মোল্লা সহ আরও দুজন আহতের ঘটনায় স্থানীয়  তৃণমুল বিধায়ককের ওপর দোষারোপ করলেন নওদা তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ব্লক সভাপতি বলেন, নওদার তৃণমূল বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান (Sahina Mumtaj Khan) পুলিশকে ব্যবহার করেছে, ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মারধর খাওয়ানো হয়েছে। ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি। ব্লক সভাপতি বলেন, তিনি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) টিকিট পেয়েছেন, তার জন্য জেলা তৃণমূল সভাপতির কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। অথচ ওই তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন নওদার তৃণমূল বিধায়ক (MLA)। যা মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান ব্লক সভাপতি। যদিও ঘটনার কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সাহিনা মমতাজ খান। তিনি তাঁর মেয়েকে পঞ্চায়েত সমিতির আসনের প্রার্থীর জন্য মনোনয়ন কেন্দ্রে এসেছেন মাত্র। সফিউজ্জামান শেখ আরও বলেন, বিধায়িকা সাহিনা মমতাজ খান জেলা সভানেত্রীর প্রতি বিষোদগার করেছেন। তিনি টাকা নিয়ে প্রার্থী করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমাদের তৃণমূলের লোকেদের দেখিয়ে দেখিয়ে পুলিশকে দিয়ে মার খাইয়েছেন। 

আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | জেলা পরিষদে ঘরোয়া লড়াই, একই আসনে মনোনয়ন দিলেন স্বামী ও স্ত্রী 

পঞ্চায়েত  ভোটের (Panchayat Vote) মনোনয়ন (Nomination) শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবিও সামনে এসেছে। নমিনেশন ফাইল করতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা হল নওদা বিডিও অফিস (BDO Office) চত্বরে। বৃহস্পতিবার পুলিশ দফায় দফায় তাড়া করে বিডিও অফিসের বাইরের লোকেদের। ওই ঘটনায় এক তৃনমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। আলাউদ্দিন মোল্লা নামে মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Madhupur Gram Panchayat) গঙ্গাধারী এলাকার এক তৃনমূল কর্মীর মাথা ফেটে যায়। ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনা। ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় তৃণমূল সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলেছে। পুলিশের বক্তব্য, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেখানে জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না।