জলপাইগুড়ি: বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত মহিলা কর্মীর বাড়ির সামনে থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার। অন্যদিকে শনিবারই মল্লিকশোভা এলাকায় আরও একমহিলার গলা কাটা দেহ উদ্ধার। শনিবার সাতসকালে ধূপগুড়ির দুই মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
এদিন সকালে ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনি এলাকায় বস্তাবন্দি মহিলা এবং সাকোয়াঝোড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকশোভা এলাকায় গলার নলি কাটা অবস্থায় এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দুই ঘটনাতেই পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। কলোনিপাড়া এলাকা মৃতার নাম পুষ্প গায়েন (৭৩), বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এদিন বাড়ির অদূরেই কে বা কারা খুন করে ড্রেনের পাশে ফেলে রেখে যায়। তাঁর মেয়ের অভিযোগ, মহিলার শরীরে থাকা অলংকারের প্রলোভনেই কেউ তাঁর মাকে খুন করতে পারে। এদিন মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের লোকেরাই বস্তা থেকে মহিলার মৃতদেহ বের করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এখনই পুলিশ কিছুই বলতে নারাজ।
আরও পড়ুন: পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ব়্যাপিডো চালক হাজির রয়্যাল এনফিল্ড নিয়ে, তারপর…
অন্যদিকে মল্লিকশোভা মৃতের নাম শান্তি রায় (৬৩)। এদিন সকালে বাড়ির পাশে থাকা বাঁশেরঝোপে নীচে চা বাগানের ড্রেন থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় তাঁর। স্থানীয়দের মতে, নলিকাটা অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর আগেও শান্তি রায় নিজেই নিজের গলায় ছুড়ি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে এদিন আদতে কি হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ অবশ্য দুটি ঘটনাতেই তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সাত সকালে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারে ধূপগুড়ি ব্লক জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।