বহরমপুর: জিয়াগঞ্জের এক দম্পত্তি সহ তাদের পুত্র সন্তানকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করা হল। বুধবার বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি আদালতের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক ফাঁসির নির্দেশ দেন। ওই মামলার তদন্তে রাইট ব্লকার সফটওয়ার অর্থাৎ, যে সফটওয়ারে সিসিটিভির ফুটেজ অন্য কেউ নষ্ট করতে পারে না, সেটা ব্যবহার করা হয়েছিল।
গত ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমীর সকালে জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগান এলাকায় বাসিন্দা বন্ধু প্রকাশ পাল ও তাঁর অন্তঃসত্তা স্ত্রী বিউটি মন্ডল পাল এবং তাঁদের সাত বছরের পুত্র সন্তান অঙ্গন পালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনার সাত দিন পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল সাগরদিঘী থানার সাহাপুরের বাসিন্দা উৎপল বেহারা। ওই মামলায় ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের তিন বছর সাড়ে দশ মাস পর গত মঙ্গলবার বহরমপুর আদালতের বিচারক উৎপল বেহারাকে দোষী সাব্যস্ত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর সফল অভিযানে বাংলার ৭ বিজ্ঞানীর অবদান
বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করা হয়। গোসাইগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল একটি জীবন বীমা সংস্থার এজেন্ট ছিলেন। সেই সুবাদে গ্রামের উৎপল বেহারা একটি বীমা করেছিলেন বন্ধু প্রকাশ পালের কাছে। সেই বীমার টাকা ফেরত নিয়ে বন্ধু প্রকাশ পালের সঙ্গে ঝগড়া ঝামেলা হয় উৎপল বেহারার। অভিযোগ, সেই গন্ডগোলের জেরে বন্ধু প্রকাশ পাল সহ তার স্ত্রী ও সন্তানকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে খুন করে উৎপল বেহারা। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল বৃহস্পতিবার।
ওই খুনের মামলার রায় শুনতে বহরমপুরের আদালতে এসেছিলেন জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ। আসামীর ফাঁসির রায় শুনে আনন্দিত চেয়ারম্যান। মূলত জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জের ফেরিঘাটে সিসিটিভি লাগানো ছিল বলেই ওই খুনের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। ওই ঘটনার পর জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভায় ১৫০টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।