কলকাতা: প্রায় চার বছর পর বিতর্কিত ‘পাঠান’ ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় ফিরছেন ‘বলিউড বাদশা’ শাহরুখ খান। আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ তারিখ ছবিটি মুক্তি পাবে। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবি এবং ছবির গান ‘বেশরম রং’ নিয়ে তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে বিতর্ক। এই গানে দীপিকার ‘গেরুয়া বিকিনি’ নিয়ে চড়েছে রাজনৈতিক রঙ। ডাক দেওয়া হয়েছে ‘বয়কট পাঠান’ এর।
এসব বিতর্কের মধ্যেই বলিউড দর্শকরা বয়কট ট্রেন্ড উপেক্ষা করে টিকিট কাটতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গত ২০ তারিখ থেকে টিকিটের অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে। সারা দেশের মতোই কলকাতাতেও ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো’ দেখার হিড়িক চরমে উঠেছে।
আরও পড়ুন: Boycott Trend Kareena Kapoor Pathaan: কলকাতায় এসে বলিউড ছবি ‘বয়কট ট্রেন্ড’ নিয়ে মুখ খুললেন করিনা
শুধু দেশের মাটিতে নয় বিদেশেও শাহরুখ ভক্তরা কেটে নিয়েছে সমস্ত টিকিট।সারা দেশে যেমন শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ নিয়ে যেমন চরম উন্মাদনা কলকাতাতেও একই রকম চিত্র। শোনা যাচ্ছে পাঠান মুক্তি পাচ্ছে বলে কলকাতার একাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনে শুধু শাহরুখের ছবি চলবে। অর্থাৎ যে-কদিন ‘পাঠান’ চলবে সেই কয়েকদিন কোন সিঙ্গেল স্ক্রিন এ মুক্তি পাবে না অন্য কোন বাংলা ছবি। অথচ ইদানিং কালে একাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছে এই সমস্ত সিঙ্গেল স্ক্রিনে। বিগত এক মাস ধরে যথেষ্ট রমরমিয়ে চলছে দেব-মিঠুন চক্রবর্তীর ‘প্রজাপতি’। যা বক্স অফিসে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এছাড়া রয়েছে ‘দিলখুশ’ এবং কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। ‘যশরাজ ফিল্মস’ প্রযোজিত ‘পাঠান’ মুক্তি পেলে কি হবে এই সমস্ত বাংলার ছবির ভবিষ্যৎ! শোনা গেছে কোন কোন সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে তুলে দেওয়া হবে বাংলা ছবি।
সূত্রের খবর ‘যশরাজ ফিল্মস’ নাকি সিঙ্গেল স্ক্রিনের হল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে ‘নো শো’ নীতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ এক্সিবিউটর এবং রিজিওনাল ডিস্ট্রিবিউটরদের বলে দেওয়া হয়েছে যে বা যারা সিঙ্গেল স্ক্রিনে ‘পাঠান’ চালাবে তাদের সবগুলো শোতেই এই ছবি চালাতে হবে। অনেকেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য ‘পাঠান’ মুক্তি পেলে সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে বাংলা ছবি উঠে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে পরিচালক অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ওদের সাহস হয় কি করে এটা বলার যে আমাদের ছবি চালাতে হবে তা না হলে কোন শো দেব না’! তিনি আরো বলেন, গোটা করো না কালে এক্সিবিটাররা বসিয়ে বসিয়ে কর্মচারীদের মাইনে দিয়েছেন তারা এই ক্ষতি আর বহন করতে পারছেন না। তাই তারা অসহায় উপায়হীন। তাদের হিন্দি ছবি চালাতেই হবে।
‘প্রিয়া’ সিনেমা হলের মালিক অরিজিৎ দত্ত বলেছেন সেখানে ‘পাঠান’ই চলবে। আবশ্য বেশ কয়েকটি সিঙ্গেল স্ক্রিন যেমন ‘নবীনা’, ‘স্টার থিয়েটার’ ও ‘অশোকা’ পাঠানের জায়গায় ‘প্রজাপতি’ ও ‘দিলখুশ’ দেখাতেই এগিয়ে এসেছে।