ঈশান ঘোষ এর পরিচালনায় ‘ঝিল্লি’ ছবিতে ধরা পড়েছে এক টুকরো দুর্গন্ধময় কলকাতা। ধাপার মাঠের পরিত্যক্ত জঞ্জাল যেন পর্দায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ছবির গল্প লেখা থেকে শুরু করে পরিচালনা সবটাই সামলেছেন বয়সে তরুণ ঈশান। দেড় ঘন্টার পূর্ণদৈর্ঘ্যের এই ছবিতে ক্যামেরাও সামলেছেন ঈশান। সিনেমাটোগ্রাফিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছেন। দীর্ঘ কয়েকটা বছর লেগেছে তাঁর এই ছবি করতে। ঈশান ঘোষ জনপ্রিয় পরিচালক গৌতম ঘোষের পুত্র। পরিচলনায় হাতেখড়ি হলো গৌতম-পুত্র ঈশানের। এর আগে বেশ কয়েকটি ছবিতে বাবার সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে। ক্যামেরা হতেও দেখা গেছে তাঁকে। এই ছবির সব শিল্পী নবাগত। ‘ঝিল্লি’ ছবিটি প্রথমবার দেখানো হয়েছিল ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। জিতে নিয়েছিল পুরস্কার। কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে ছবিটি।
আরো পড়ুন: An Action Hero Malaika Arora: ‘অ্যান অ্যাকশন হিরো’তে মুন্নি বদনাম…
গতকাল, ১১ ই নভেম্বর বড়পর্যায় মুক্তি পেলে ছবিটি।দক্ষিণ কলকাতার এক নামজাদা শপিং মলের মাল্টিপ্লেক্সে ছিল ছবির প্রিমিয়ার। উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক-শিল্পীরা সহ গৌতম ঘোষ, অভিনেতা-পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, রাজা দাশগুপ্ত ও অন্যান্যরা। গৌতম ঘোষের বক্তব্য অনুযায়ী ”ঝিল্লি ছবিটি সিনেমার একটি অন্য ভাষা খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছে। ঈশান শুধু আমার ছেলে বলে বলছি না।”
ছবিতে সেখানকার মানুষের জীবনের নানান রঙ ধরা পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দুঃখ,কষ্ট, সহনশীলতা এবং জীবন সংগ্রাম ফুটে উঠেছে ‘ঝিল্লি’তে। ব্যস্ততম আধুনিক এই শহরের চাকচিক্যের মধ্যেই ধাপার আবর্জনার জীবন যেন অন্য এক জগতের গল্প বলে। ধাপার জঞ্জাল পাহাড়ে খুটে খাওয়া এবং খেটে খাওয়া মানুষগুলোর লড়াই ফুটে উঠেছে ঈশানের ছবিতে। এ যেন এক অন্য ভাষা। ছবিতে ক্যামেরার পথচলা এবং শব্দ প্রক্ষেপণ অন্য প্রাণ যুগিয়েছে ‘ঝিল্লি’কে। বকুল,গনেশ,শঙ্কু, চম্পারাও যে সমাজে এক একটা সংগ্রামী প্রান্তিক মানুষের প্রতিভু- তা এই দুর্গন্ধময় জগতে থেকেও কিভাবে তাঁরা বেঁচে আছে তা এই ছবি না দেখলে বোঝা যায় না। ‘ঝিল্লি’র চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে হতাশা আর কিছুটা আশার গল্প।