ওয়েব ডেস্ক: অক্ষয় কুমার(Akshay Kumar) অভিনীত ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২'(Kesari Chapter 2) ছবিটি নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান এবং ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে এই ছবিতে। এবার সরাসরি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ল ছবিটি।
ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Bannerjee)। তিনি বলেন বাংলাকে অসম্মান করলে কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হতে পারে’।
সম্প্রতি বিধান নগর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে জনৈক্য সমাজকর্মী রণজিৎ বিশ্বাসের তরফে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে বিতর্কে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অক্ষয় কুমারের এই ছবি ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব উপড়ে দিয়েছেন জনপ্রিয় বাঙালি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়(Srijit Mukherjee) ও অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী(Ritwik Chakraborty)। বিশ্বজিৎ লিখেছেন, ‘হতাশজনক গবেষণা’।এক্স হ্যান্ডেলে সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখলেন, ‘ক্ষুদিরাম সিং? এরপর কী? মোহনদাস করমচাঁদ মুখ্যোপাধ্যায়? জওহরলাল দস্তিদার? লালা লাজপত লাহা? আর হৃত্বিক লিখলেন “শুনলাম,’ছাপরি চ্যাপ্টার গু’ বলে একটি হিন্দি সিনেমায় নাকি ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। অবশ্য হিন্দি সিনেমার থেকে ইতিহাস শেখা উচিত নয়। ওরা কিন্তু যে কোন দিন ছাপ মারা বিশ্বাসঘাতককে বীর বলে চালিয়ে দেবে। পুনশ্চ: এক বন্ধু জানালেন সিনেমার নামটা ভুল বলছি। আসল নাম “যুবা কেসরী- ফুঃ”।
অক্ষয় কুমারের এই ছবি গত এপ্রিলে মুক্তি পেয়েছে। বহু দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে সড়ক হয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান ও তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলেছিলেন নেটিজেনরা। সম্প্রতি ও টি টি প্লাটফর্মে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ মুক্তি পেয়েছে। তারপরেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান এবং ভুল তথ্য প্রচার সংক্রান্ত অভিযোগ বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে মোজফফরপুর ষড়যন্ত্র মামলায় একটি আদালত কক্ষের দৃশ্য দেখানো হয়েছে ছবিতে। সেখানেই স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুকে দেখানো হয়েছে ‘ক্ষুদিরাম সিং’ হিসেবে। আর বারীন্দ্র কুমার ঘোষকে দেখানো হয়েছে ‘বীরেন্দ্র কুমার’ হিসেবে। যা স্বাধীনতার সংগ্রামীদের অপমান শুধু নয় তথ্য বিকৃতি এবং বাংলার পক্ষে যথেষ্ট অসম্মানের।