চলচিত্র জগৎ থেকে নিজেকে অনেক দিনই গুটিয়ে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে ‘ঠাঁকরে’ ছবিতে। দীর্ঘ সাত বছর প্রেম করার পর বলিউডের এই অভিনেত্রী অমৃতা রাও বিয়ে করেছিলেন আর জে আনমলকে। ইউটিউব এ ‘কাপল অফ থ্যাংকস’ অনুষ্ঠানে শুরুর দিকে প্রেম এবং বর্তমান সংসদ জীবনের নানান বিষয় ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন অমৃতা। গতকাল অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি এমনই এক ভিডিওতে অমৃতাকে তার ক্যারিয়ার নিয়ে নানান কথা বলতে শোনা গেছে। কিভাবে তিনি সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন তাও জানিয়েছেন। এমনকি যশরাজ ফিল্মসের ইন হাউজ হিরোইন হওয়ার অফার এসেছিল তাঁর কাছে। অমৃতাকে বলতে শোনা গেছে যশরাজ ফিল্মসের ‘নীল এন্ড নিকি’ এবং ‘বাচনা হে হাসিনো’ ছবির অফার এসেছিল তাঁর কাছে। তবে ছবিতে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে বলে অমৃতা সেই অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
অমৃতা ২০১১ সালের স্মৃতি দিয়ে এদিনের ভিডিও শুরু করেছিলেন। যেখানে তিনি শ্রদ্ধা কাপুরের লাভ কা দ্য এন্ড’ ছবি দেখে কেঁদে ফেলার কথা উল্লেখ করেন। আক্ষেপের সুরে তিনি জানান কেন তাঁকে যশরাজ এই ধরনের ছবিতে ডাকে না! ঠিক পরেই যশরাজ স্টুডিও থেকে অমৃতার কাছে ফোন আসে। তাকে ইন হাউজ হিরোইন হওয়ার প্রস্তাব দেন আদিত্য চোপড়া। প্রস্তাবে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় ছবিতে চুম্বনের দৃশ্য থাকবে এবং ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত থাকবে। আদিত্য তার কাছে জানতে চান অমৃতা কি এই ধরনের চরিত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক! আদিত্য উত্তর জানতে চেয়ে লিখেন অমৃতা যদি না চান তাহলে জানো শুধু ‘না’ লিখে মেসেজ করেন। কোনরকম ফরমালিটি করার দরকার নেই। প্রসঙ্গত, ‘বিবাহ’ ছবির কারণে পারিবারিক সিনেমার নায়িকা হিসেবে বলিউডে পরিচিতি পেয়েছিলেন অমৃতা। সেই চেনা চোখ থেকে বের করে আনতে চেয়েছিলেন আদিত্য অমৃতাকে। অমৃতা আদিত্যকে মেসেজ করে জানান, ‘স্যার, আমি একজনের সঙ্গে সম্পর্কের হয়েছি আপনার অফার আমার কাছে দারুণ সম্মানের। কিন্তু আমি এটার পূর্ণ মর্যাদা দিতে পারলাম না’। অমৃতার দ্বিধা বুঝতে আদিত্যর অসুবিধা হয়নি। উত্তরে তিনি লিখেছিলেন,’আমি বুঝতে পেরেছি। পরবর্তীতে তোমার উপযোগী কোন চরিত্র থাকলে অবশ্যই জানাবো’।