ছৌ নাচ মানেই পুরুলিয়া। তবে অনেকেই জানেনা পুরুলিয়া ছাড়াও মানভূমের অন্য জায়গাতেও এই ছৌ নাচ রয়েছে। এই ছৌ নাচের অন্য এক ধারা নিয়ে ডকুমেন্টারি করেছেন পরিচালক মলয় দাশগুপ্ত। নাম ‘হয়ের দ্য মাস্ক স্পিক দ্য মাইন্ড ‘। মূলত সেরাইকেল্লা ছৌ নাচ নিয়ে পরিচালক মলয় দাশগুপ্ত তথ্যচিত্র করেছেন। ২০২১ সালে এই ডকুমেন্টারি দেখানো হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। এছাড়াও দেশ বিদেশের বহু চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হচ্ছে এই ডকুমেন্টারি। সম্প্রতি কেরালা ও মাদ্রিদ চলচ্চিত্র উৎসবে এই তথ্যচিত্র প্রশংসিত হয়েছে।
সেরাইকেল্লার ছৌ নাচের বিশেষত্ব নিয়ে বিস্তারিত বিষয় দেখানো হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। পুরুলিয়া ছৌ নাচ থেকে অনেকটাই আলাদা সেরাইকেল্লা ছৌ নাচের ঘরানা। এই নাচের যে মুখোশ তৈরির প্রক্রিয়া তা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে মাস্ক তৈরির শিল্পী কানহাইয়া লাল মহারাণা। প্রসঙ্গত এই তথ্যচিত্র করার পর কানহাইয়া লালের মৃত্যু হয়।
পরিচালকের কথায়, ছৌ কথাটা এসেছে ছাউনি থেকে। মূলত মানভূমের বিভিন্ন জায়গায় সেনা বাহিনীর ছাউনিতে সিপাহীরা নিজেদের মনোরঞ্জন জন্য ট্রাইবাল অর্টফর্ম নিয়ে নিজেদের মতো করে নাচ করতো। পরবর্তি সময়ে এই নাচ বংশ পরম্পরায় মানভূমের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। সেরাইকেল্লা এখন ঝাড়খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা।” মুখোশের আড়ালে থেকেও নাচের ভঙ্গিমায় কীভাবে ভাব প্রকাশ করা যায় ।সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন পরিচালক।
সেরাইকেল্লার ছৌ নাচের মধ্যে একটি সেমি ক্লাসিকাল নাচের প্রভাব রয়েছে। এর কারণ পরিচালকের মতে, “সেরাইকেল্লার নাচে রাবীন্দ্রিক প্রভাব রয়েছে। এই নাচে যে মুখোশ ব্যবহার হয় তা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করা হয়।
৬৭ মিনিটের এই তথ্যচিত্র বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের পর মুক্তি পাবে।