বিগত ২১ বছর টলিউডে কাজ করছেন অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষ । তবে সেইভাবে প্রচারের আলোয় খুব বেশি থাকেন না তিনি। সেই নিয়ে অবশ্য চান্দ্রেয়ী জানান, ” এটা সত্যি আমি খুব বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ ছিলাম না, তবে ইদানিং আমিও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বেশি করে থাকার চেষ্টা করছি, তবে এটা সত্যি কারণ ছাড়া খবরে খুব একটা থাকা হয়না। ” তবে নায়িকা মনে করেন কোন কিছুই খুব বেশি ভালো নয়।
এতো বছরের অভিনয়ের কেরিয়ারে বিভিন্ন চরিত্র করেছেন তিনি। নায়িকা জানান, “এতো বছরে নানা রকম চরিত্রে অভিনয় করছেন , তবু আজ যখন নতুন কোন চরিত্র পাই আমি শট্ দিতে যাই আমি নার্ভাস হয়ে পড়ি। সব রকম চরিত্র পেয়েছি, পুলিশ থেকে বারবনিতা নানা ধরণের চরিত্র পেয়েছি, একটা অন্যটার থেকে আলাদা। আমি ভীষণ ভাগ্যবতী। এই কারনেই যখন কোন চরিত্র পাই সেটাই চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। প্রতিটা চরিত্রর জন্য আলাদা আলাদা ধরনের তৈরি হতে হয়, যেমন সম্প্রতি মুক্তি পাচ্ছে আমার একটি ওয়েব সিরিজ, নাম ‘মুক্তি’, যেখানে আমি একজন মুসলিম বারবনিতার চরিত্র করছি যে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে নিজের মত করে স্বাধীনতা পেতে চায়, আবার একটি ছবি ‘রিষ’ খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে যেখানে আমি একজন নান এর চরিত্র করছি, এই চরিত্রর জন্য আমাকে অনেক নতুন কিছু শিখতে হয়েছে, জানতে হয়েছে।”
বাংলার পাশাপাশি বলিউডে তাঁকে এখনও দেখা যায়নি, কারন তিনি বলেন, “বাংলাতেই অনেক কাজ করেছি, এমন নয় যে বলিউডের ডাক আসেনি, তবে টানা অনেকটা সময় সেখানে দিতে গেলে কলকাতা ছেড়ে মুম্বই থাকতে হবে , সেটা আমার হয়ে ওঠেনি। তবে ভবিষ্যতে ভালো চরিত্র পেলে আর সময় থাকলে অবশ্যই করব। কয়েকটি কাজ করেওছি, এই কিছুদিন আগেই দেবালয়ের একটি কাজ করলাম, তবে সেই শ্যুটিংয়ের কাজ কলকাতাতেই হয়েছিল। পরিচালক ওনির এর ছবিতেও কাজ করেছিলাম , সেই শ্যুটিং ও হয়েছিল কলকাতাতেই । কিছুদিনের মধ্যেই ‘মন্টুপাইলট ‘ এর শ্যুটি শুরু করবো।”
অভিনয়ের পাশাপাশি বেশকিছু সমাজ সেবা মূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত চান্দ্রেয়ী। ২৬ জানুয়ারির দিনটা তাই তিনি কাটাবেন শিশুদের সঙ্গে। সকাল থেকে রাত হইহই করে কাটাতে চান, কারণ এই করোনা পরিস্থিতিতে বহু শিশু তাদের অভিভাবকদের হারিয়েছে, এছাড়াও করোনার সময়ে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও বাধা পেয়েছে।
করোনার প্রকোপের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন , “করোনা সকলের মতো আমাকেও অনেকটা চেঞ্জ করেছে, ঈরোনা এখনও আমাদের শেখাচ্ছে, কতো প্রিয়জনকে হারিয়ে এটা বুঝেছি জীবন কতোটা আনন্দ সার্টেন। আগেও জানতাম, তবে এতোটা মারাত্মক হতে পারে সেটা বোঝা ছিলোনা।” তিনি আরও বলেন, “আমার ও মায়ের করোনা হয়েছিল, মা সামলে নিলেও আমি একটু ভুগেছি। এখনও আমরা এই ক্রাইসিস এর মধ্যেই আছি, এতো কিছুর মাঝেও অন্যরা যেমন অনেক কিছু হারিয়েছে, সেখানে অন্যদের থেকে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হয়েছে।