কলকাতা : কিংবদন্তী পরিচালক মৃণাল সেনের জন্ম শতবর্ষে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য।বড়পর্দায় মুক্তির অপেক্ষায় পরিচালকের নতুন ছবি পালান।মৃণাল সেনের খারিজ ছবির গল্পকেই পালান-এ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। খারিজ-এর মতো পালান-এও মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন অঞ্জন দত্ত ও মমতা শঙ্করকে।থাকছেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারও।পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্ত ও পাওলি দামকেও।আগামী ২২সেপ্টেম্বর সিনেমাহলে মুক্তি পাবে পালান।১৯৮২ সালে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক মৃণাল সেনের অন্যতম সেরা ছবি খারিজ।যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অঞ্জন দত্ত,মমতা শঙ্কর,শ্রীলা মুখোপাধ্যায়রা।ছবিতে তাঁদের চরিত্র গুলিও ছিল স্বনামেই। অঞ্জন ও মমতা ও তাঁদের একমাত্র ছেলে পুপাইয়ের সংসারে পরিচারকের চাকরি নিয়ে থাকতে শুরু করে পালান।বাড়ির সব কাজ এবং ফাই ফরমাস খেটে মাসে বরাদ্দ মাত্র ত্রিশ টাকা।খাওয়া দাওয়া ওই বাড়িতেই।সকলের উচ্ছিষ্ট,এঁটোকাটা আর কি।রাতে শোয়ার ব্যবস্থা রান্নাঘরে।দীর্ঘদিনের পুরনো বাড়ি,আর তার রান্নাঘরে যে একটা ঘুলঘুলিও নেই,সেটাই আর কেউ খেয়াল করেনি।হঠাৎই একদিন সকালে রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় পালান-এর মৃতদেহ।পালানের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলেছিল ভেন্টিলেশনের অভাবে মারা গিয়েছে ছেলেটা।
তারপর কেটে গিয়েছে ৪১টা বছর।খারিজ বক্সঅফিসে সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি চলচ্চিত্র সমালোচকদের মন জয় করেছে।একই বাড়িতে দুটি ছেলের দুই রকম জীবন এবং পরিণতি।চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন পরিচালক মৃণাল সেন।পাঁচবছর আগে সকলকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিশীল এই আদ্যোপান্থ বাঙালি পরিচালক।অঞ্জন ও মমতা এখন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।তাঁদের ছেলে পুপাই ও তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকে।যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত ও পাওলি দাম। এদিকে সেনবাড়ির বয়স আরও বেড়েছে।ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে তাঁর কাঠামো।বিপজ্জনক বাড়ির নোটিশ ঝুলিয়েছে পুরসভা।পুলিশ বলছে বাড়ি খালি করতে। কিন্তু পুপাইয়ের নিউ জেনারেশন নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের জন্য আলাদা করে জায়গা নেই।বার্ধক্যে পৌছে অঞ্জনের উপলব্ধি,তার অবস্থাটাও পালানের মতো,থাকার জায়গা নেই।একটা সিঁড়ির তলাও নেই।পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন,চল্লিশটা বছর পেরিয়েছে,সময় বদলেছে।কিন্তু সমস্যাটা আজও একই আছে।বুধবার ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে।২২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে পালান।