লেখা ও ছবি: অরণ্য সেন
কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার প্রিয়া সিনেমা হলে প্রিমিয়ার হয়ে গেল ‘দত্তা’ সিনেমার। ছবিতে প্রধান চরিত্র ‘বিজয়া’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কন্যা ঋষণাকে নিয়ে প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। ছবির অন্যান্য প্রধান অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত ও সাহেব চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন এদিন। এদিন দেরিতে হলেও ছবির প্রিমিয়ারে এসেছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন নির্মল চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখা এই ‘দত্তা’ উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালক সৌমেন মুখার্জি যে ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন সেখানে বিজয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুনন্দা দেবী। এরপর ১৯৭৬ সালে অজয় কর এই একই উপন্যাস অবলম্বনে একটি ছবি তৈরি করেছিলেন যেখানে বিজয় চরিত্রে দেখা গিয়েছিল টলিউডের মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে।
প্রিমিয়ারে দেরিতে হলেও উপস্থিত হয়ে ছবির সাফল্য কামনা করলেন প্রসেনজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা দেবও দর্শকদের ‘দত্তা’ দেখার জন্য আবেদন করেছেন।
ঋতুপর্ণা বলেন,”সুনন্দা দেবী যখন ‘দত্তা’ করেছেন তখন আমার জন্মই হয়নি। সুচিত্রা সেনের ‘দত্তা’র সময় আমি একেবারেই ছোট ছিলাম। তিনি মহানায়িকা। তার সঙ্গে তুলনা করা কোনভাবেই উচিত হবে না।”
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণ আরও জানান ‘দত্তা’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি চিরন্তন উপন্যাস। আজকের সমাজেও কিন্তু বিজয়ার চরিত্র স্বতন্ত্র। আমার কাছে ‘দত্তা’ আজও প্রাসঙ্গিক এবং চিরকালীন।
এদিন সকালে অভিনেত্রী ছবির সাফল্য কামনা করে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও আদ্যাপীঠে পুজো দিয়েছিলেন। দেবীর আশীর্বাদে লাল হলুদ বেনারসি পরে মেয়ে ঋষণাকে নিয়ে সন্ধ্যেবেলা ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত হয়েছিলেন।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তী বলেন,”শরৎচন্দ্রের মূল উপন্যাস ‘দত্তা’র ছবিতে কোন বদল ঘটেনি। শরৎচন্দ্র দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয়। আশা করি বাংলা ছবি দর্শকরা আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।”