Wednesday, June 11, 2025
HomeCurrent NewsBappi Lahiri: মুম্বইয়ের হাসপাতালে সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যু, দাবি সংবাদ সংস্থা...

Bappi Lahiri: মুম্বইয়ের হাসপাতালে সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যু, দাবি সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের

Follow Us :

মুম্বই: ২৪ ঘণ্টা কাটল না৷ ফের ভারতীয় সঙ্গীত জগতে নক্ষত্র পতন৷  মুম্বইয়ের হাসপাতালে মারা গেলেন বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী তথা সুরকার বাপ্পি লাহিড়ি৷ বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে৷ টুইটে পিটিআইয়ের দাবি, মুম্বইয়ের জুহুর এক বেসরকারি হাসপাতালে বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন৷

বিষাদের সুর ভারতীয় সঙ্গীত মহলে৷ মঙ্গলবার রাতে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়৷ তাঁর শেষকৃত্য এখনও হয়নি৷ তার আগেই মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যু হয়েছে৷ মাত্র ১১ বছরে প্রথম গানে সুর, ‘কাঁকড়ার জাত’ অভিযোগকে নস্যাৎ করে বাপ্পিকে মুম্বইয়ে ব্রেক দেন এক বাঙালিই৷ বাপ্পি লাহিড়ির জীবন রঙিন৷ তবে, রয়েছে সংগ্রামও। তিন বছর বয়সেই তবলা শেখা তাঁর। ইচ্ছে ছিল মুম্বইয়ে পাড়ি দেওয়ার। সেটাই করলেন তিনি৷ মাত্র ১৯ বছর বয়সে মুম্বই পাড়ি দেন গায়ক। ১৯৭৩ সালে হিন্দী ভাষায় নির্মিত নানহা শিকারী ছবিতে তিনি প্রথম গান রচনা করেন৷ এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) ছবিতে কাজ করেন। মুম্বই পাড়ি দেওয়ার আগে মাত্র ১১ বছর বয়সে প্রথমবার গানে সুর দিয়েছিলেন তিনি৷

বাপ্পি লাহিড়ির আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ি। ১৯৫২ সালে জলপাইগুড়ি জেলায় তাঁর জন্ম। ডাক নাম ছিল বাপি। এক আত্মীয়ের রাখা নামেই আজ তিনি বিশ্ব কাঁপিয়েছেন। বাবা অপরেশ লাহিড়ি আর মা বাঁশুড়ি লাহিড়ি দুজনেই বাংলা সঙ্গীত জগতে পরিচিত নাম ছিলেন। গানের হাতেখড়ি পরিবারেই।

আরও পড়ুন: Sandhya Mukhopadhyay Death: নক্ষত্র পতন, ছন্দপতন…সন্ধ্যার মৃত্যুতে সমবেদনা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের

৩৩টি ছবির জন্য ১৮০টি গান রেকর্ড করে ১৯৮৬ সালে গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি।  একমাত্র ভারতীয় মিউজিক ডিরেক্টর হিসাবে ১৯৮৯ সালে জোনাথন রসের লাইভ পারফরম্যান্সে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন৷ তাঁর আইকনিক গান জিমি জিমি আজা আজা… হলিউড ছবি ‘ You Don’t Mess With The Zohan’s’-এ ব্যবহার করা হয়েছিল।

বাপ্পি লাহিড়ি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর সোনা অলঙ্কার পরার কাহিনী৷ তিনি বলেছিলেন, প্রথম সোনার চেন উপহার দিয়েছিলেন মা, এর পর স্ত্রী তাঁকে গণেশের লকেট দেওয়া এক চেন উপহার দেন। তিনি মনে করেন, সোনা তাঁর জন্য বেশ লাকি। আর সে কারণেই সোনা পরে থাকার সিদ্ধান্ত তাঁর।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular