বলিউডের ‘দাবাং’ খ্যাত অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত। কয়েক দিন আগে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ৩৭ লক্ষ টাকা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তখন এ ব্যাপারে সোনাক্ষীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার এক টুইটে সোনাক্ষী দাবি করেছেন যে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবরটি সত্যি নয়। তিনি বলেছেন ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে যে আমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কোনরকম যাচাই না করেই এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ কল্পকাহিনী। আমাকে হেনস্তা করার জন্য একটি মহল থেকে এই কাজটি করানো হয়েছে। সমস্ত গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের প্রতি আমার অনুরোধ এই ভুয়ো খবরটি আর প্রকাশ করবেন না।’ এই ভুয়ো খবর ছড়ানোর কারণে সোনাক্ষী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন,’আমার সুনাম নষ্ট করে একজন আমার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে চাইছে এবং প্রচারে আসতে চাইছে। দয়া করে তাতে কর্ণপাত করবেন না। এই মামলাটি এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্থগিত করেছে। এখন এটি মোরাদাবাদ কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আমার লেগাল টিম ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’ ইভেন্ট অর্গানাইজার প্রমোদ শর্মা নামে এক ব্যক্তি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ এর বাসিন্দা কাঠঘর থানা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এটি ২০১৯ সালের ঘটনা। অগ্রিম টাকা নিয়েও সোনাক্ষী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। এরপরই আয়োজকদের পক্ষ থেকে সোনাক্ষীকে দেওয়া অগ্রিম টাকা ফেরত চাওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে অভিনেত্রী বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন প্রমোদ শর্মা। মামলার শুনানির জন্য অভিনেত্রীর মরা আবাদে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন। তখনই আদালত অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে জানা গেছে। এখন দেখার দাবাং অভিনেত্রী কিভাবে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপারটি সামাল দেন।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.