গাড়ির মাথায় একা বসে রয়েছেন নেতা। গাড়ির জানালা দিয়ে বেরিয়ে রয়েছেন বহু সমর্থক। চলন্ত গাড়িতে উড়ছে নেতার চুল। হ্যাঁ গাড়ির মাথায় বসে রয়েছেন দক্ষিণী নেতা-অভিনেতা পবন কল্যাণ। দৃশ্যটা দেখলে মনেই হতে পারে কোন ছবির শুটিং চলছে। তির বেগে পবনকে নিয়ে ছুটে চলেছে গাড়ি গন্তব্য স্থলের দিকে। অন্যান্য গাড়িগুলো দুরন্ত গতিতে পবনের গাড়ির সঙ্গে চলছিল। পবনের গ্রামে যাওয়ার পথের দৃশ্য এভাবেই ফিল্মি কায়দায় ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছিল গত বছরের শেষের দিকে।
প্রসঙ্গত,রাজনৈতিক দল জনসেনার প্রতিষ্ঠাতা দক্ষিণী এই তারকা। তাঁরই গ্রামে যাওয়ার এই ভিডিও ড্রোন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। হয়েছিল ভাইরাল।
আরও পড়ুন: Sid-Kiara Wedding Karan: নবদম্পতিকে নিয়ে আবেগে ভাসছেন করণ, প্রেমের কারিগর তিনিই!
প্রসঙ্গত, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় দক্ষিণী চলচ্চিত্রের ‘পাওয়ার ষ্টার’ খ্যাত এই অভিনেতা পবন কল্যাণ। তিনি দক্ষিণী চলচ্চিত্রের অন্য এক বরেণ্য অভিনেতা চিরঞ্জীবীর ছোট ভাইও বটে। অর্থাৎ অভিনেতা রামচরণের কাকা।
শিল্পীদের জীবনে হতাশা আসতেই পারে। আর এই হতাশা অনেক সময় মানুষের জীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনে। অনেকে আত্মহত্যার ও চেষ্টা করে থাকেন। অভিনেতা পবন কল্যাণের ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি নাকি এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে গিয়েছিলেন। দক্ষিণী টেলিভিশন শো ‘আনস্টপেবল উইথ এনবিকে’ তে অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে সম্প্রতি কৈশোর বয়সের এই ভুল চিন্তাভাবনার কথা শেয়ার করেছেন পবন কল্যাণ।
স্মৃতি হাতরে পবন কল্যাণ বলেন—‘আমার হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, মাঝে মাঝে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতো। যার জন্য আমি অতটা সামাজিক মানুষ ছিলাম না। আমার বয়স যখন ১৭ বছর, তখন পরীক্ষার চাপ আমাকে হতাশাগ্রস্ত করে ফেলে। আমার মনে আছে, আমার বড় ভাই (চিরঞ্জীবী) যখন বাড়িতে থাকতেন না, তখন তার লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু আমার আরেক বড় ভাই নাগা বাবু ও ভাবি সুরেখা (চিরঞ্জীবীর স্ত্রী) সে যাত্রায় আমাকে বাঁচান।’
এ ঘটনার পর চিরঞ্জীবী তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। তা উল্লেখ করে পবন কল্যাণ বলেন, ‘‘আমার ভাই (চিরঞ্জীবী) বলেছিলেন, ‘নিজের জন্য বাঁচো। তুমি যদি কিছুই নাও করো তাতেও কিছু যায় আসে না! কিন্তু প্লিজ বাঁচো।’ তারপর আমার ভাবনা বদলে যায়। আমি বই পড়তে শুরু করি, গান, মার্শাল আর্টে ডুবে যাই।’’
অন্যদের উপদেশ দিয়ে পবন কল্যাণ বলেন, ‘অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিজের সঙ্গে করুন। জ্ঞান ও সফলতা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আসে।’