জনপ্রিয়তা ও বক্স অফিসের নিরিখে এস এস রাজমৌলি পরিচালিত ‘বাহুবলি’ ছবিকেই এখনো পর্যন্ত সর্বকালের সেরা ছবি হিসেবে মনে করা হয়। তবে এই ছবিতেও সবদিক থেকে পিছনে ফেলে দিতে পারে ‘ট্রিপল আর’ ছবিটি। ছবিটি গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৫ মার্চ মুক্তি পেয়েছে। এই ছবিটিও পরিচালনা করেছেন এস এস রাজমৌলি। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসায় ভরে গিয়েছে। সিনেমা বিশ্লেষক তরন আদর্শ এককথায় ছবিটিকে ‘অসাধারণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। দর্শকদের নিজস্ব মতামত অনুযায়ী তাদের ধারণা ভারতীয় ছবির ইতিহাসে ‘ট্রিপল আর’ সর্বকালের সেরা হতে চলেছে। প্রসঙ্গত ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন জুনিয়র এনটিআর ও রামচরণ। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট, অজয় দেবগন, রে স্টেভেশন, আলিভিয়া মরিস প্রমূখ। দর্শকরা যা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তাতে জুনিয়র এনটিআর এবং রামচরণ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। বিশেষত এই দুজনের এন্ট্রি এবং অ্যাকশন দৃশ্যের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দর্শকরা। এছাড়াও যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে আলিয়া ভাট ও অজয় দেবগনের অল্প সময়ের অভিনয়।
সেইসঙ্গে ‘বাহুবলি’র পর পরিচালক রাজমৌলির ম্যাজিক যে নতুন করে কাজ করেছে তাতে দর্শকরা মুগ্ধ। সম্প্রতি ছবি মুক্তির আগে কলকাতা শহর ঘুরে গেলেন ছবির পরিচালক ও দুই অভিনেতা রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআর। দক্ষিণী এই সুপারস্টারদের দেখতে গঙ্গার ঘাটে যথেষ্ট ভিড় জমেছিল।কলকাতার পরিবেশ সম্পর্কে জুনিয়র এনটিআর বলেছেন, “আমি এবার আর স্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারলাম না। কিন্তু পরেরবার ওঁকে নিয়ে আসব। বাংলার তৈরি শাড়ি পরার ওঁর অনেক দিনের ইচ্ছা। ওঁকে নিয়ে এসে শাড়ি কিনে দেব।” কেবল শাড়ি নয়, খাদ্যরসিক জুনিয়র এনটিআর পছন্দ করেন নানাস্বাদের বাঙালি-ভোজও।রামচরণের কাছে কলকাতা অজানা শহর নয়। বহুবছর আগে দক্ষিণী ছবি ‘নায়ক’-এর শুটিংয়ে এসেছিলেন তিলোত্তমায়। ছোটে লাল ঘাটে শুটিং করেছিলেন তিনি। সেই সব স্মৃতিই ঘুরে ফিরে আসছিল রামচরণের স্মৃতিতে। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন মহা-তারকা।এর আগে ছবির প্রচারে হায়দ্রাবাদের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, মুম্বই,গুজরাট,দিল্লি, অমৃতসর গিয়েছিল ‘ট্রিপল আর’ টিম। এছাড়া দুবাই ভ্রমণ করেছিল দলটি। অন্যান্য জায়গার মতো কলকাতাতেও ছবিটি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে।