অনেকেই পাকা কলা খেতে পছন্দ করেন। তবে অনেকের ধারণা, কলা খেলে শরীরের খুব উপকার হয়। এই তথ্য সত্য হলেও, কলায় বিশেষ কিছু উপাদান থাকার কারণে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে প্রিতিদিন কলা খেলে যেমন পেট পরিষ্কার থাকবে, তেমনি পেটের কিছু রোগও হতে পারে। সবজি হিসাবে কাঁচা কলা অনেকই পছন্দ করেন। কাঁচা কলায় থাকা ফাইবার ইনসুলিন রেজিস্ট্যানসের প্রবনতা কমায়। কাঁচা কলা খাওয়া ভাল, কিন্তু পরিমাণে কম খাওয়াই উচিত।
আরও পড়ুন: অজান্তেই লিভারের ক্ষতি করছে রোজকার খাবার!
কলার উপকারিতা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকায় হাড় শক্ত রাখে। এছাড়াও ফাইবারের অন্যতম উৎস কলা। এর মধ্যে সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবার থাকায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কলাতে থাকা প্রকৃতিক সুগার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার, যা কোষ্টকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের প্রথম সলিড খাওয়ানোর সময় কাজে আসতে পারে কলা। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন: পকেটমারদের স্বর্গরাজ্য এখন রামলালার দরবার!
কলার অপকারিতা: পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম যাদের রয়েছে, তাঁদের কলা খাওয়া একদমই উচিত নয়। পিসিওএস এমন একটা অসুখ যার ফলে মহিলাদের ওভারি বা ডিম্বাশয় বড় হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ছোটো ছোটো সিস্টও হয়। এই রোগে ওজন বৃদ্ধি হয়। এই রোগের থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত খদ্যাভাস বা ফুড হ্যাবিট ঠিক করুন। কলা না খাওয়াই ভাল। কলায় কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকার জন্য সপ্তাহে এক দুইদিন, অন্য ফল এর পরিবর্তে খাওয়া যেতে পারে। তবে কলার স্মুদি ও সেক বানিয়ে না খাওয়াই উচিৎ। যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তবে কলা না খাওয়াই ভাল। বেশি পরিমাণ কলা খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। কলাতে সুগার এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই খুব বেশি কলা খেলে দাঁতের সমস্যাও হতে পারে।
আরও অন্য খবর দেখুন