ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খান এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক শীর্ষ কর্তা মেজর জেনারেল ফয়জল তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ তুললেন ইমরান খান। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতারা জানিয়েছেন, ইমরানের বিশ্বাস এই তিনজনই হত্যার চেষ্টার মূল চক্রী। তাঁর কাছে যে খবর এসেছে, তা থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্তে এসেছেন এবং এটাই দেশবাসীকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ইমরানকে গুলি করার পর দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ হলেও দল ঠিক করেছে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষ হলেই তারা আন্দোলনে নামবে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ইমরান এখন মোটের উপর বিপন্মুক্ত হলেও এই ঘটনায় ফের উত্তাল হচ্ছে পাকিস্তান। লং মার্চের যে ডাক দিয়েছিলেন তিনি, তাতে আরও ঘৃতাহুতি দিয়েছে এই ঘটনা। ইমরানের উপর হামলার পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: Twitter Employee Lay-Off: গণছাঁটাইয়ের পথে এলন মাস্ক, কর্মীদের আজ জানিয়ে দেবেন মেইল করে
কী সেই তিনটি কারণ?
১। ইমরান এই মিছিল থেকে সরাসরি সেনা ও আইএসআইকে নিশানা করেছিলেন। বিশেষত তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রে ছিলেন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআইয়ের মেজর জেনারেল রানা।
২। বাজওয়াকে দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ইমরান। শুধু তাই নয়, বাজওয়াকে মিরজাফর বলতেন খানসাহেব।
৩। হামলার তিনদিন আগে ইমরান বলেছিলেন, ৬ মাস ধরে আমি দেখছি দেশজুড়ে পরিবর্তনের হাওয়া উঠেছে। কিন্ত, সেটা কি ব্যালট বক্সে প্রভাব ফেলতে পারে, নাকি তার আগেই রক্তবন্যায় ধুইয়ে দেওয়া হবে!
গোড়া থেকেই ইমরান দুটো দাবিতে অটল ছিলেন। প্রথমটি হল, আগামী বছরের গোড়াতেই সাধারণ নির্বাচন করতে হবে। দ্বিতীয়টি হল, নতুন সরকার এলে তারাই নয়া সেনাপ্রধান নির্বাচন করবে। প্রসঙ্গত বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ আগামী ২৯ নভেম্বর শেষ হচ্ছে।