মালিকানা হাতে নিয়েই টুইটারের খোলনলচে বদলে ফেলতে শুরু করেছেন এলন মাস্ক। জনপ্রিয়তম মাইক্রোব্লগিং সংস্থায় কোনও বাড়তি ‘মেদ’ রাখতে চান না তিনি। তাই শুরু হয়েছে ছাঁটাই। শোনা গেছিল, প্রায় অর্ধেক সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করতে চান তিনি। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। টেসলার সিইও-র উদ্দেশ্য কী? টুইটারকে ঠিক কোন পথে নিয়ে যেতে চান তিনি?
উদ্দেশ্য পরিষ্কার জানালেন মাস্ক। টুইট করে তিনি লেখেন, দুনিয়া সম্পর্কে সবথেকে নির্ভুল তথ্যের উৎস হতে হবে টুইটারকে। সেটাই আমাদের মিশন। মাস্ক বরাবরই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, ভুয়ো পোস্ট নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে এসেছেন। এবারও বললেন, যে সব অ্যাকাউন্ট অন্য কারও ছদ্মবেশ ধারণ করবে, তাদের জানাতে হবে যে তারা ‘প্যারোডি’ করছে। অন্যথায় অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: WhatsApp Web: ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপে হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছে না, কী করবেন?
টুইটারে যে বিষয়টা নিয়ে টেসলার সিইও প্রথম থেকেই সোচ্চার, তা হল বাক স্বাধীনতা। মালিক হয়ে তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, কোনও অ্যাকাউন্ট যদি তাঁর বিমানকেও অনুসরণ করে তবুও সে অ্যাকাউন্ট তিনি নিষিদ্ধ করবেন না। তাতে যদি সরাসরি ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়, তাতেও আপত্তি নেই মাস্কের।
আরও একটি টুইট করে মাস্ক বলেন, ভেরিফিকেশন যত ছড়াবে, সাংবাদিকতায় তত গণতন্ত্র আসবে এবং সাধারণ মানুষের কণ্ঠ জোর পাবে। তবে একটা বিষয়ে টুইটারাত্তিদের সাবধান হতে হবে। আগে কোনও কারণে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার আগে একবার সতর্ক করা হত টুইটারের তরফে। কিন্তু এখন আর কোনও সতর্ক বার্তা দেওয়া হবে না। ভুলচুক হলেই সাসপেন্ড। নাম বদল করলেই সাময়িকভাবে ব্লু টিক বন্ধ হয়ে যাবে।