জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে অস্বাভাবিক হারে৷ এর জেরে জীবনযাপন করতে নাভিশ্বাস উঠছে৷ প্রতিবাদে সামিল জর্ডনের নাগরিকরা (Jordanians)৷ সরকার জানিয়েছে, জর্ডনের বেশ কিছু শহরে এখন দাঙ্গা পরিস্থিতি৷ পুলিশ (police) ও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চলছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন এক পুলিশকর্মী৷ এই ঘটনার পরে এখনও কেউ গ্রেফতার (arrest) হননি৷ খুনের ঘটনাটি ঘটেছে জর্ডনের মান (Maan) শহরে৷
এই ঘটনার পরে মান শহর ও দক্ষিণ জর্ডনের অন্য শহরগুলিতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷ জোরদার আন্দোলনে নেমেছেন ট্রাক চালকরা (truck driver)৷ ট্রাক চালকদের দাবি, অবিলম্বে জ্বালানির দাম কমাতে হবে৷
আরও পড়ুন: Minor Victim Haridevpur: অচৈতন্য করে নাবালিকাকে ধর্ষণ, যুবক ও তার মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ
এদিকে নাগরিক আন্দোলন দমন করতে সক্রিয় প্রশাসন৷ জর্ডনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতরের (interior minister) মন্ত্রী মাজেন ফারায়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে৷ মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী৷
অন্যদিকে, পুলিশ (police) কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গতকাল রাতে সশস্ত্র প্রতিবাদীরা পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে৷ গুলিতে জখম হয়েছেন ৪০জন পুলিশ অফিসার৷ আন্দোলনকারীরা একটি গাড়িও ভাঙচুর করেছে। সূত্রের খবর, অশান্তি পাকানোর দায়ে ইতিমধ্যে গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে ৪৪জনকে।
সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, আন্দোলনরতদের মধ্যে যুব সম্প্রদায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে৷ নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ওঁরা পাথর ছুড়েছেন৷ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে আম্মান, ইরবিড-সহ অন্যান্য শহরে৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা (security forces)।
অশান্ত জর্ডনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও আশা এখনও দেখা যাচ্ছে না। জর্ডনের একাংশে ইন্টারনেট (internet) পরিষেবা মন্থর গতিতে চলছে বলে জানা গিয়েছে।