কাবুল: আফগানিস্তানে ‘মানবিকতা’ ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে৷ একই সঙ্গে জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবাও ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে৷ তাই, মানবিক সংকটের মধ্যেও অন্তত জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবা পূরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ ও ইউনিসেফ। তাদের বক্ত্যব, মাত্র গত দু’মাসেই তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত৷ তাদের নিরবচ্ছিন্ন জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে সংকটময় পরিস্থিতিতেও সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
“যদিও আন্তর্জাতিক স্তরে বিগত দিনগুলির প্রধান লক্ষ্য ছিল দুর্বল আফগানদের সরিয়ে নেওয়া। এ কারণে, বড় বড় বিমান অভিযান চলছিল। তবে জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠতার মুখোমুখি হওয়া বৃহৎ মানবিক চাহিদাগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়। যা কোনও ভাবেই করা যাবে না। এমনকী, গত কয়েক সপ্তাহ আগেও আফগানিস্তান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মানবিক অভিযানের প্রতিনিধিত্ব করেছিল৷ যেখানে ১৮ মিলিয়নেরও বেশি লোকের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। যাইহোক, এরকম পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের ওই বাস্তুচ্যুত মানুষের পাশে থাকবে ও জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবা চালিয়ে যাবে৷
আরও পড়ুন- ভারত যেন স্বর্গ, দাবি দেশ ছেড়ে আসা আফগান নাগরিকদের
একই সঙ্গে ওই দুই সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে কোনও বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ কাবুলে অবতরণের অনুমতি না থাকায়, দুর্দশাগ্রস্তদের কাছে জরুরী সামগ্রী সরবরাহের কোনও উপায় নেই। অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলিও একইভাবে সীমাবদ্ধ। তাই, যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে পরিষেবা প্রদানে হু এবং ইউনিসেফ আন্তর্জাতিক স্তরে ‘মানবিক এয়ার ব্রিজ’ তৈরির কাজ করবে৷ এই কাজে গতি বাড়াতে রাষ্ট সংঘ ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাহায্য চাওয়া হবে৷ এ কারণে প্রথম কয়েক দিনে হু এবং ইউনিসেফ কার্মীদের জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার মতো নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তবে, আফগানিস্তানের কছিন সময়েও এই দুই সংস্থার পরিষেবা অব্যাহত ছিল৷ তাই তাদের কর্মীরা বর্মান পরিস্থিতিতেও আফগানিস্তানে থাকা ও বাস্তুচ্যুতদের পরিষেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই, দেশে থাকা লক্ষ লক্ষ আফগানিদের পরিষেবায় নানান রকম ব্যবস্থা গ্রহণ ও কাজের গতি বাড়ানো হচ্ছে৷
কিন্তু, সংঘাত, বাস্তুচ্যুত, খরা এবং করোনা পরিস্থিতি সেই কাজে ভয়ঙ্কর ভাবে সমস্যার সৃষ্টি করছে। আফগানিস্তানে বিপুল এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য মানবিক সংস্থাগুলিকে সহায়তা এবং সুবিধাজনক করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সাহায্যের অভাবে কেউ যেন মারা না যায় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।