ওয়েব ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ হয়েছিল কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ (Operation Searchlight)। বাংলাদেশের (Bangladesh ইতিহাসে সম্ভবত তারপরেই থেকে যাবে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। ওপার বাংলার স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবথেকে বড় ধরপাকড় অভিযানে রাতারাতি গ্রেফতার হলেন বহু আওয়ামি লিগ (Awami League) কর্মী। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বাংলাদেশি শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী গ্রেফতার করল ১৩০৮ জনকে। খুলনায় পুলিশি অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা (Dhaka) ও সংলগ্ন অঞ্চল। ধানমন্ডির ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রীদের বাড়ির উপর চলছে হামলা। গাজিপুরে সেখানে হাসিনা সরকারের (Sheikh Hasina) প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাসভবনেও একই ভাবে হামলা চলে। কিন্তু সেখানে স্থানীয় কিছু লোকজন হামলাকারীদের উল্টে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরেই অপারেশন ডেভিল হান্ট-এর নির্দেশ দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের তত্ত্বাবধানে থাকা সরকার।
আরও পড়ুন: ৩২ নম্বর ধানমন্ডি কাণ্ডে নয়াদিল্লিকে পাল্টা তোপ বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানের (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) অপারেশন সার্চলাইট আজও ওপার বাংলার ইতিহাসে গভীর ক্ষত হয়ে রয়ে গিয়েছে। জাতীয়তাবাদী বাঙালিদের আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে শুরু হয়েছিল পাক সেনার নিধন যজ্ঞ। তাদের সঙ্গ দিয়েছিল ‘রাজাকার’ বাহিনী। আনুমানিক ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন হিন্দু।
অপারেশন ডেভিল হান্ট ব্যাপকতায় সার্চলাইটের কাছাকাছি না হলেও এক্ষেত্রেও বিরোধী স্বর স্তব্ধ করাই মূল উদ্দেশ্য। শেখ হাসিনা এবং বেশিরভাগ উচ্চস্তরের নেতারা দেশ থেকে পালালেও এখনও আওয়ামি লিগের অসংখ্য নেতা-কর্মী রয়েছে বাংলাদেশে। যে কোনও ছুতোয় তাঁদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে ইউনুসের সরকার (Muhammad Yunus)।
দেখুন অন্য খবর: