কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চীনের উওজোউ শহরের কাছে গুয়াংগজি এলাকায় বিমান ভেঙে পড়ার কারণ জানতে হন্যে হয়ে ‘ব্লাক বক্স’ বা সাউন্ড রেকর্ডার খুঁজছে প্রশাসন৷ যার থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঠিক আগের মুহূর্তে কী ঘটেছিল তা জানা যাবে৷
চীনা সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, ভাইরাল ভিডিয়ো চিত্র অনুযায়ী বিমানটি উল্লম্ব থেকে প্রায় ৩৫ ডিগ্রি কোণে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে। চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএএসি) এর বিমান নিরাপত্তার পরিচালক ঝু তাও সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনায় কাউকে জীবিত পাওয়া যায়নি। বিমান চালক ও অন্যান্য যাত্রী মিলিয়ে ১৩২ জনেরই মৃত্যু হয়েছে৷ বিমানটি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ যা তদন্তের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ তাই, টিক কী কারণে এখনও জানা যায়নি৷ তা জানার জন্য ব্লাক বক্স খোঁজার চেষ্টা চলছে৷
মঙ্গলবার প্রায় ৬০০ সেনাকর্মী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র , টর্চ, বেলচা ইত্যাদি নিয়ে পুলিসি সহযোগিতায় দুর্ঘটনাস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করে৷ প্রায় ১ বর্গ কিলোমিটার (০.৪ বর্গ মাইল) একটি জায়গায় তিন দিকের পাহাড় দ্বারা ঘেরা এলাকার পথ পরিষ্কার করা হয়৷ তারপরও ব্লাক বক্স পাওয়া যায়নি৷
কুনমিং থেকে গুয়াংঝৌ যাওয়ার কথা ছিল ৭৩৭ বোয়িং বিমানটির। যার বয়স মাত্র ৬ বছর। বিমানের ক্ষেত্রে যা কিছুই নয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঠিকঠাকই উড়ছিল চীনের ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের (China Plane Crash) বিমান। বেলা ২টো ২০ নাগাদ আচমকা নাক বরাবর নিচে (Nose Dive) নামতে শুরু করে বিমানটি। ২ মিনিটের মধ্যে ২৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নেমে চলে আসে ৩ হাজার ফুটে (Plane Crash)। তার পরই এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শেষ ২ মিনিটে ঠিক কী ঘটেছিল? কলকাতা টিভি ডিজিটালের হাতে এসে পৌঁছেছে বেশ কিছু তথ্য। ফ্লাইটরাডার ২৪ থেকে একাধিক তথ্য মিলেছে।
দ্য চায়না ইস্টার্স সংস্থার বিমানটি বেলা ১টা ১১ মিনিট নাগাদ কুনমিং থেকে রওনা দিয়েছিল। ৩টে ৫ মিনিট নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল তার। ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, দুপুর ২টো ১৯ মিনিটে ২৯ হাজার ১০০ ফুট উচ্চতায় ছিল বিমানটি। দুপুর ২টো ২০ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত এই উচ্চতাতেই উড়ছিল ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি। গতি ছিল ৪৫৭ নট। তার পরই বিপত্তি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আচমকা ২৭ হাজার ফুটে নেমে আসে বিমানটি। এর পর নাক বরাবর নামতে থাকে বিমানটি। ২৭ হাজার ফুট থেকে ২২ হাজার, তার পর ১৭ হাজার, ১৫ হাজার, ১২ হাজার, ১১ হাজার, ৯ হাজার, ৭ হাজার ফুট!
বিমানটি ভেঙে পড়তেই পাহাড়ে বিধ্বংসী আগুন ধরে যায়। টুইটারে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়৷