নয়াদিল্লি: ৭ নভেম্বর রবিবার এক চীনা সাংবাদিকের টুইট ঘিরে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে৷ দুটি ছবি ও প্রায় একশো শব্দের ক্যাপশন৷ তাতে লেখা হয়েছে, গত বছর জুনে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ছবি৷ চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) কাছে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে ভারতীয় সেনা৷ একই সঙ্গে ওই টুইটে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সেনারা সীমান্ত রেখা নিয়ম লঙ্ঘণ করে৷ চীনা সেনাদের আক্রমণ করতে প্ররোচিত করে৷
চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের নিউজ এডিটর শেন শিওয়েই৷ তিনি টুইটে দাবি করেছেন, ‘গত জুনে গালওয়ান সংঘর্ষের নতুন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে৷ যাতে দেখানো হয়েছে যে, আত্মসমর্পণকারী ভারতীয় সেনারা চীনা সেনা দ্বারা বন্দি।” তিনি আরও লিখেছেন, “ভারতীয় সেনারা সদ্য উপনীত সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং চীনা কর্মীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক আক্রমণ শুরু করে৷ যার ফলে ব্য্যপক শারীরিক সংঘর্ষ হয়।”
?New pictures of last June's #Galwan clash emerged on social media, showing surrendered Indian soldiers captured by Chinese PLA.
Indian soldiers violated newly-reached consensus and launched provocative attacks against Chinese personnel, leading to serious physical conflicts. pic.twitter.com/8oZO9D4noL
— Shen Shiwei 沈诗伟 (@shen_shiwei) November 7, 2021
শেন শিওয়েই-র এই টুইটের পরেই তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ ভিজেতা সিংহ নামের এক ভারতীয় শেন শিওয়েই-র টুইট রিটুইট করেছেন৷ একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সরকার কি এই ঘটনার মোকাবিলা করতে চায়? গালওয়ানের ঘটনার পরেও ভারত-চীনের বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ছাড়ালেও দেড় বছরে লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে অন্তহীন আলোচনা চলছে৷
Does the government intend to counter this ? While, post-Galwan, India-China trade poised to exceed $100 billion, after 1.5 years, the endless round of talks with China on Ladakh boundary continues. https://t.co/HCoSLnF5FV
— Vijaita Singh (@vijaita) November 7, 2021
আরও পড়ুন- মানুষের দল, প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে বিজেপি, নাম না করে গান্ধী পরিবারকে নিশানা মোদির
গালওয়ান সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। চিনের তরফে ৪৩ জন হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। গালওয়ান সংঘর্ষের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ভারতীয় সেনার ওই শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘গালওয়ান কে বীর’ বলে চলতি বছরে গান প্রকাশিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এক বছর পেরিয়ে গেলেও ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার নিষ্পত্তি এখনও ঘটেনি। দু’দেশের সেনাবাহিনীই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর অবস্থান করছে।