কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন অর্থনীতি কি ফের একবার মন্দার মুখোমুখি? জো বাইডেনের দেশের শীর্ষ আর্থিক সংস্থা রাতারাতি সুদের হার বাড়ানোর পর ওয়াল স্ট্রিটে এমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের গতি প্রকৃতি অনেকটাই ঠিক করে থাকে। আর আমেরিকার ফেডারেল ফান্ড সে দেশের ঋণ-নীতির খুঁটিনাটি ঠিক করে থাকে। অন্যান্য আর্থিক সংস্থাগুলিকে কত হারে সুদ দেওয়া হবে তা ঠিক করে থাকে শীর্ষ অর্থনৈতিক সংস্থা। সেই হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। ১ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে হার স্থির হয়েছে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শেষ এরকম এক ধাক্কায় বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির নজির রয়েছে ১৯৯৪ সালে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, পাহাড় প্রমাণ মূল্যবৃদ্ধির মুখে পড়েছে মার্কিন অর্থনীতি। মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিতেই বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে এই বৃদ্ধিতে এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন দেশের সাধারণ মানুষ কেনাকাটায় কম খরচ করছেন। বাজারে পন্যের জোগান থাকলেও চাহিদা কমেছে। যার ধাক্কা সরাসরি এসে পড়েছে বাজারে।
আর্থিক সংস্থা ‘মুডিজ’-এর এক আর্থিক বিশেষজ্ঞের মত, ‘বেসিস বৃদ্ধি করে হয়ত মূল্যবৃদ্ধি খানিকটা সামাল দেওয়া যাবে, আবার একইসঙ্গে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’ বিশেষজ্ঞদের এই মতামতের পরেই ওয়াল স্ট্রিটে তার ধাক্কা এসে পড়েছে। দেশ কি আবার মন্দার মুখে এমন চর্চা শোনা যাচ্ছে।
আর এক বহুজাতিক আর্থিক সংস্থা ‘ওয়েলস ফারগো অ্যান্ড কোম্পানি’-র বক্তব্য, আগামী বছর ২০২৩ সালের মাঝামাঝি থেকে খুব মৃদু হলেও মন্দা দেখতে পাওয়া যাবে মার্কিন অর্থনীতিতে। কেননা মূল্যবৃদ্ধি যেভাবে অর্থনীতির উপর গেঁথে বসেছে তা থেকে এই অনুমান সহজেই করা যায়। সাধারণ মানুষ খরচ না বাড়ালে এর থেকে আপাতত মুক্তি দেখছেন না বিশেষজ্ঞেরা।