দাবানলের গ্রাসে বিধ্বস্ত গ্রিস। একটানা ১৫ দিন ধরে জ্বলছে গ্রিসের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কাজে হাত লাগিয়েছে প্রায় দেড় হাজার কর্মীরা। একইসঙ্গে তিনটি ক্যানাডিয়ার অগ্নিনির্বাপক বিমানও পাঠানো হয়েছে, আকাশ থেকে জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর জন্য। ফ্রান্স, স্পেন, রাশিয়া, ব্রিটেন-সহ ১০টি দেশ ইতিমধ্যে সাহায্য পাঠিয়েছে। বিদেশ থেকেও আনা হয়েছে দক্ষ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, হেলিকপ্টার। এমনকি আগুন নেভানোর জন্যও বিশেষ বিমান ও যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে গ্রিসে। সাহাজ্যের হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে আটটি দেশ।
আরও পড়ুন সোনা জিতেও শাস্তির মুখে পড়তে পারে ব্রাজিল ফুটবল দল
ইতিমধ্যেই দাবানলে পুড়ে গ্রিসের ৫৬ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমি নষ্ট হয়েছে।শনিবার টার্কিতে বৃষ্টি হওয়ায় সেখানে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দমকা হাওয়ায় গ্রিসের বাকি অংশে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে ।ইভিয়া দ্বীপে জলপথে ৮৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।এভিয়াতে ৫৭০টি দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম গ্রিসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় একটি বিমান ভেঙে পড়েছে। তবে পাইলট প্লেন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাতেও বাগে আসছেনা আগুন। ইতিমধ্যেই অনেক কে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর ইভিয়ায় চারটি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতিr মূল কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে। যে হারে দ্রুত ঘটে চলেছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়বে চূড়ান্ত মাত্রায়।
আরও পড়ুন বিশ্বের বৃহত্তম থ্রিডি বালি আর্ট
বিশ্বে ক্রমাগত বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইড এর ঘনত্ব। ২০১৯ সালে বিশ্বের গ্লোবাল রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারে এগিয়ে ছিল এই বছরটি। বিজ্ঞানীদের মতে গত ৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত ২০০০ বছরেও এত পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি। ফলে এভাবেই যদি পরিবেশে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে আগামী ১০ বছরে তাপমাত্রার বিরাট পরিবর্তন ঘটবে এবং গোটা বিশ্বে বড় মাত্রায় প্রভাব দেখা দেবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গোটা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলটিই জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামিদিনে তাপপ্রবাহ, খরা ও অগ্নিকাণ্ড আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। ফলে প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট বিরোধীদের