Tuesday, September 9, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollবাংলাদেশের ছবি নেপালেও! কী কী মিল?
Bangladesh & Nepal

বাংলাদেশের ছবি নেপালেও! কী কী মিল?

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! বাংলাদেশ ও নেপালের গণআন্দোলন কোনদিক থেকে এক?

ওয়েব ডেস্ক: গত বছর অগাস্টে গণআন্দোলনের (Mass Protest) জেরে পতন হয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) আওয়ামি লিগ সরকার। আর এবছর সেপ্টেম্বরে একই ছবি দেখা গেল নেপালে (Nepal Gen Z Protest)। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) মতো দেশ ছাড়লেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। দুই ক্ষেত্রেই এক সামাজিক ইস্যু থেকেই সরকার পতনের ভিত তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন (Bangladesh Student Protest) সরকারের পতনের কারণ হয়, আর নেপালের ক্ষেত্রে সেটা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর। অর্থাৎ, ভারতের দুই প্রতিবেশি দেশে অনেকটা একইভাবে সরকার পড়ল। কিন্তু এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপালের মিল কেন খোঁজা হচ্ছে? চলুন পাঁচ দিক দিয়ে সেটা বিচার করা যাক।

আরও পড়ুন: নেপালের অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় লাথি মেরে ফেলে কিল, চড়

  • ১. যুবসমাজের গণআন্দোলন: ২০২৪ সালের বাংলাদেশের জুলাই–অগাস্টে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে। পরে তা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিবিরোধী গণআন্দোলনের রূপ নেয়। ঠিক তেমনই কয়েকদিন আগে নেপালে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গণআন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত জেন-জি’রা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবিস’ ট্রেন্ড করে দুর্নীতি ও সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। হাজার হাজার তরুণ ইউনিফর্ম পরে রাস্তায় নামে।
  • ২. ক্ষুদ্র কারণ থেকে বড় আন্দোলন: বাংলাদেশে গণআন্দোলন শুরু হয় সরকারের একটি ছোট নীতিগত সিদ্ধান্ত থেকে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের প্রতিবাদ থেকেই হাসিনা সরকারের কফিন তৈরি হয়। এদিকে শুধুমাত্রে নিয়ন্ত্রণের নামে নেপালে সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করা হযলেও এটি দ্রুত গণআন্দোলনে পরিণত হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি নেপাল সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • ৩. পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারীর মৃত্যু: গতবছর বাংলাদেশে কয়েক সপ্তাহের আন্দোলনে প্রায় ১,৫০০ জনের মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হয়। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে দেয়। এদিকে নেপালে মাত্র একদিনের সংঘাতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের অধিকাংশই তরুণ ও শিক্ষার্থী। এই মৃত্যুর ঘটনা আন্দোলনের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়।
  • ৪. সরকার ও মন্ত্রীদের বাসভবনে হামলা: বাংলাদেশে আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন সহ পার্লামেন্ট ও পুলিশের থানায় হামলা হয়। অনেক মন্ত্রী পালাতে বাধ্য হয়। নেপালেও একইরকমের ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী ওলির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অন্যান্য মন্ত্রীদের বাসভবনেও হামলা হয়।
  • ৫. প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ ও সেনার নিয়ন্ত্রণ: বাংলাদেশে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেন এবং নিরাপদে দেশ ছাড়তে সাহায্য করেন। নেপালেও সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল ওলিকে পদত্যাগ করতে বলেন এবং সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহযোগিতা করেন।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News