কাবুল: জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে কাবুল বিমানবন্দর৷ তালিবানের প্রাণভয়ে দেশ ছাড়তে হাজার হাজার মানুষ এখন কাবুল বিমানবন্দরে৷ মানুষের ভিড়ে বিমানবন্দর জুড়ে তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির৷ ভিড় নিয়ন্ত্রণে গুলি পর্যন্ত চলেছে৷ তাতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের৷ আহত হয়েছেন অনেকে৷ তার পরই আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল মার্কিন সেনা৷ অর্থাৎ বিমানবন্দরে গুলি চালানোর দায় মার্কিন সেনার ঘাড়েই চাপিয়েছে আফগানিস্তান৷ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের ওয়াচ টাওয়ার এবং বিমান ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রণ করবে মার্কিন সেনা৷
আরও পড়ুন: চাকা ধরে পালানোর চেষ্টা, বিমান আকাশে উড়তেই পড়ে গেল যাত্রী
রবিবার আশরাফ ঘানি সরকারের পতন ঘটে৷ কাবুলে ওড়ে তালিবানি পতাকা৷ কাবুল তালিবানদের দখলে চলে আসার আজ দ্বিতীয় দিন৷ এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ৷ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে তাঁরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাবুলিওয়ালার দেশ তালিবানি শাসন চায় না৷ এদিকে কাতারে কাতারে মানুষ বিমানবন্দরে চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ভারত-সহ একাধিক দেশের নাগরিকরা৷ কেউ কেউ দেশে ফিরে গেলেও এখনও আফগানিস্তানে রয়েছেন বহু বিদেশি নাগরিক৷ কাবুল বিমানবন্দরের যা পরিস্থিতি তাতে তাঁরাও দেশ ছাড়তে পারছেন না৷ তার উপর আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান৷ এতে আরও সমস্যায় পড়েছেন বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেটরা৷ সূত্রের খবর, কনস্যুলেটরা যাতে দেশে ফিরতে পারেন সেই কারণে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নেয় মার্কিন সেনা৷ তাদেরই ঘেরাটোপে কাবুল বিমানবন্দর৷