ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President) হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ভরে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নিজস্ব ভাঁড়ার। ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের (Forbes Billionaires List 2024) ধনকুবেরদের তালিকায় সেই ছবিটা বেশ স্পষ্ট। এই তালিকায় ৭০০ নম্বরে উঠে এসেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ট্রাম্পের মোট সম্পত্তির (Donald Trump Wealth) পরিমাণ ছিল ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে মাত্র এক বছরে তা বেড়ে ৫.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, বিগত এক বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণের থেকেও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে এই প্রথম নয়, ফোবর্সের ধনীদের তালিকায় ১৯৮২ সাল থেকেই রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। যদিও সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা ফ্রেড ট্রাম্প। তাঁদের উভয়ের সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার। মূলত রিয়েল এস্টেট ব্যবসার মাধ্যমেই ট্রাম্প বিশাল সম্পত্তির মালিক হন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসার খাতে তাঁকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, প্রভাব পড়বে কোন কোন ক্ষেত্রে?
সুদের হার বৃদ্ধির ফলে মার্কিন রিয়েল এস্টেট খাতে মন্দা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন শপিংয়ের প্রসারের কারণে কমেছে বড় অফিস স্পেসের চাহিদাও। গলফ কোর্স, বিলাসবহুল সম্পত্তি, মদের কারখানা ও ব্যক্তিগত বিমান ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান’ থাকা সত্ত্বেও চরম আর্থিক চাপ সামলাতে হয়েছে ট্রাম্পকে। পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের আদালতে ৪৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের জরিমানা ও ৪০ ওয়াল স্ট্রিটের একটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার হুমকিও তাঁর সম্পত্তির উপর প্রভাব ফেলেছিল।
তাহলে কীভাবে দ্বিগুণ হল ট্রাম্পের সম্পত্তি? মূলত ট্রাম্পের বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের জেরেই এমনটা হয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। প্রথমত, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এর মূল সংস্থা জনসমক্ষে উন্মুক্ত করেন ট্রাম্প। এতে লাভবান হয়েছেন তাঁর মালিকানাধীন সংস্থা। এছাড়াও, তিনি একটি নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল’ চালু করেন। পাশাপাশি, তিনি ‘ট্রাম্প’ নামের একটি ডিজিটাল টোকেনও বাজারে আনেন। এইসব কারণে ট্রাম্পের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অল্প সময়েই।
দেখুন আরও খবর: