ওয়েব ডেস্ক: নেটফ্লিক্সে (Netflix) রমরমিয়ে চলছে ওয়েব সিরিজ (Web Series)। ক্রাইম থ্রিলার (Crime Thriller)। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে। তিহাড় জেলের (Tihar Jail) এক জেলারের বর্ণনায় বিভিন্ন কুখ্যাত দোষীদের শেষ দিনগুলির ঘটনা ফুটে উঠেছে। তারই মধ্যে একটি ঘটনা যা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তখন স্যাটেলাইট টিভির বিশ্বায়ন বা নেট দুনিয়ার বিস্ফোরণ ঘটেনি। আরজি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই। তারই মধ্যে ফিরে দেখা ৩৭ বছর আগের একটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। যেখানে নৃশংসভাবে খুন করা হয় দিদি-ভাইকে।
নাম ব্ল্যাক ওয়ারেন্ট। ওই নামের বই থেকেই ঘটনাগুলি নেওয়া। তার মধ্যে একটি হল রাঙা-বিল্লা। রাঙা ও বিল্লা চোপড়া দিদি-ভাইকে অপহরণ করে হত্যা করে। কুলজিৎ ওরফে রাঙা খুশ, জসবীর সিং ওরফে বিল্লা। দিল্লিতে দুজন টিনএজারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সিরিজে কি ঘটনার সত্যি ছবি তুলে ধরা হচ্ছে? আসলে কি ঘটেছিল? রাঙা ও বিল্লাই কি ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল? সেসব নানা প্রশ্নচিহ্নও ফুটে উঠেছে ওই সিরিজে। যেভাবে ধনঞ্জয়ের ধর্ষণের ঘটনা নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে গ্রেফতার সইফের উপর হামলাকারী, জেনে নিন পরিচয়
যে দুজন টিনএজার খুনে হয়েছিল তারা হল, সঞ্জয় চোপড়া ও গীতা চোপড়া। ১৯৭৮ সালের ২৬ অগাস্ট। ওই দুজন দিল্লিতে তাদের ধৌলা কুয়া অফিসার্স এনক্লেভ থেকে সংসদ মার্গে একটি বিশেষ প্রোগ্রামের জন্য অল ইন্ডিয়া রেডিও অফিসে যাচ্ছিল। বৃষ্টি মুখর দিন। গীতা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। ভাই সঞ্জয় মর্ডান স্কুলের ছাত্র ছিল। এক ডাক্তার তাদের বাড়ি থেকে গোলে ডাক খানায় ছেড়ে দেয়। সেখান থেকেই অপহরণ করা হয়। গাড়ির ভিতরই ওই ছাত্রীর চিৎকার অনেকে শুনতে পেয়েছিল। তার ভাইও সাহায্য প্রার্থনা করে। তারপরে দুদিন ওই দুজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার তিন দিন পরে তাদের পচে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। অপহরণকারীদের খোঁজে তীব্রতা আরও বাড়ে। ঘটনায় দুসপ্তাহ ধরে রাঙা ও বিল্লির খোঁজ চলে। পালিয়ে বেড়ালেও নিজের ভুলের জন্যই ধরা পড়ে ওই দুজন। কালকা মেলে মিলিটারি কম্পার্টমেন্টে চড়ে ওই দুজন। তারাই পুলিশের হাতে ওই দুজনকে তুলে দেয়।
১৯৮২ সালের ৩১ জানুয়ারি রাঙা ও বিল্লার ফাঁসি হয়। তিহাড় জেলের ফাঁসি কোঠিতে তার আগে সাংবাদিকরা তার ইন্টারভিউ নেয়। তার মধ্যে এক মহিলা সাংবাদিক ইন্টারভিউ নিতে পেরেছিলেন। তবে অন্তত পাঁচজন সাংবাদিক ছিলেন যাঁদেরকে ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আদালত অনুমতি দিয়েছিল। ওই সিরিজে দেখা গিয়েছে বিল্লি বারবার বলেছে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ ছিল, একমাত্র রাঙা দুজনকে ধর্ষণ করে খুন করে।
এই সব দিক তুলে ধরা হয়েছে ওই সিরিজে। সাংবাদিকরা মনে করে, ওই ঘটনায় আরও কিছু রয়েছে যেটা বাইরে আসার দরকার ছিল। সত্যি সামনে আসা দরকার। আরেকটি ঘটনা ঘটে তাতে ফাঁসির পরও রাঙা বেঁচে রয়েছে বলে গল্প ছড়ায়। আসলে এক পুলিশ অফিসার তার পা ঠেলে দিয়েছিল তাতেই সেই গল্প ছড়ায়। এই সিরিজটির পরিচালনা করেন পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে।
দেখুন অন্য খবর: