ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) দেশজুড়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা (Gov Education System) তুলে দিতে পদক্ষেপ করলেন। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় তিনি বৃহস্পতিবার সই করেছেন। শুল্কবৃদ্ধি, নথিহীন অভিবাসী তাড়ানোর মতো এটাও তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এগজিকিউটিভ অর্ডার অনুযায়ী, শিক্ষা সচিব শিক্ষা বিভাগ বন্ধের সব পদক্ষেপ করবেন। এর ফলে শিক্ষায় কর্তৃত্ব থাকবে রাজ্যের। ১৯৭৯ সাল থেকে শিক্ষা দফতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ছাত্রদের ঋণ দিয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের সহায়তা করেছে। কম আয়ের পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে। স্কুলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর ফলে লক্ষ-লক্ষ অসহায় পরিবার সমস্যায় পড়বে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক মামলা হয়েছে আমেরিকার আদালতগুলিতে। এটা বাস্তবায়িত হলে যৌথ কাঠামোয় আর থাকবে না শিক্ষা। পাশ্চাত্যের শিক্ষায় ইংল্যান্ডের পরেই ছাত্র ছাত্রীদের আন্তর্জাতিক গন্তব্য ছিল আমেরিকা। এর ফলে শিক্ষার বেসরকারিকরণ বাড়বে।
মার্কিন কংগ্রেস একমাত্র এটা রুখতে পারে। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এর বাস্তবায়ন হবে না। তবে মনে করলে ট্রাম্প বাজেটের কাটছাঁট করতে পারেন। কর্মী ছাঁটাই করতে পারেন। প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী আমেরিকার ছাত্র ছাত্রীরা পড়ার ক্ষেত্রে গড় মানের। একইভাবে অঙ্কের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানের। ট্রাম্পের যুক্তি, ২৪৫ শতাংশ খরচ বাড়ানো হয়। তারপরে অঙ্ক ও রিডিং স্কোর আমেরিকার সরকারি স্কুলগুলিতে খুব খারাপ। বেশি খরচ করলেই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয় না। আমেরিকার ছাত্র ছাত্রীরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর দাবি, শিক্ষার ‘প্যারেন্টাল রাইট’ হওয়া দরকার। নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ডে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর এখন অনেকেই প্রশ্ন এবার বোধ হয় আমেরিকার শিক্ষা সচিব লিন্ডা ম্যাকমোহনের (Linda Mcmahon) চাকরিও যেতে চলেছে। এরপর থেকে বেসরকারি স্কুলগুলির রমরমা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপন্ন শৈশব’, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ
দেখুন অন্য খবর: