কলকাতা: গার্ডেনরিচের প্রতারক ব্যবসায়ী আমির খান অবশেষে ধরা পড়ল। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি বিলাসবহুল রিসর্ট থেকে লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানা তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলার সূত্রেই গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ই নাগেটস নামে একটি জাল অ্যাপের মাধ্যমে আমির ব্যবসা শুরু করেছিল। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সেই অ্যাপের মাধ্যমে সে টাকা তুলত। গত ১০ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কলকাতার ছয় জায়গায় তল্লাশি চালায়। তার বাড়ি এবং অফিসেও অভিযান চালানো হয়। গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়িতে হানা দিয়ে খাটের নীচ থেকে থরে থরে নগদ টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা গুণতে মেশিন আনা হয়। দিনের শেষে বাজেয়াপ্ত করা টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। তবে আমিরকে তখন পাওয়া যায়নি। ওইদিন ইডির তদন্তকারীদের বাড়িতে ঢুকতে প্রথমে বাধা দেন আমিরের বাড়ির লোকজন। পরে অবশ্য ইডির অফিসাররা ঢুকতে পারেন। তাঁরা বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেউই আমিরের হদিশ দিতে পারেননি। আমির এবং তার অন্য শাগরেদদের খোঁজ চলছিল।
আরও পড়ুন: Kurmi Agitation: ডিএমদের সঙ্গে বৈঠক কাটল জট, ১০০ ঘণ্টা পর উঠল কুড়মিদের রেল অবরোধ
পুলিশ সূত্রের খবর, এই অ্যাপের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করে প্রচুর সাধারণ মানুষ বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। ২০২১ সালেই আমিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছিল পার্ক স্ট্রিট থানায়। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক ওই প্রতারণার অভিযোগ করে। কিন্তু তখন পার্ক স্ট্রিট থানা ওই ঘটনায় কার্যত কোনও তদন্তই করেনি বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপেই পার্ক স্ট্রিট থানা তদন্তে অগ্রসর হয়নি। এর কিছুদিন আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি। শহরের বুকে একের পর এক কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিস্মিত হয়ে যান ইডির তদন্তকারী অফিসাররাও।